সারা দেশে চেম্বার অফ কমার্স গুলোর প্রধান নিয়ন্ত্রক হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পূর্ব বাজারঘাটা, প্রধান সড়কে আবু সেন্টারস্থ ঠিকানায় পরিচালিত কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স সরকারি গেজেটভুক্ত বাণিজ্য মন্ত্রলণালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান।
তাছাড়া জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে চেম্বারের নাম দিয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ বন্ধ করার মাধ্যমে একটি কার্যকর চেম্বার অফ কমার্স প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৭ জুলাই,২০১৭ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন ডি টিও এবং অতিরিক্ত সচিব জনাব আবদুল মান্নান সাহেবের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিমের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র মহোদয় এবং মামলার বর্তমান বিবাদী মোহাম্মদ আলীর উপস্থিতিতে আলী আর্কেডস্থ তথাকথিত চেম্বার অফ কমার্স এর কার্যক্রমকে সাইনবোর্ড অপসারণের মাধ্যমে স্থগিত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং ঃ বাম/টিও-১/সি-অংশ-৪/৩৬০ তারিখ ২৪ জুলাই-২০১৭
পরবর্তীতে ৩০ মে-২০১৮ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনার বিরুদ্ধে আলী আর্কেডস্থ তথাকথিত চেম্বার এর পক্ষে জনৈক আসাব উদ্দীন রীট করেন (রীট নং ৩০৯৭/২০১৮)। আমাদের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী উক্ত রীটটি শুনানির মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্ট রুলটি বাদি পক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত হয়নি মর্মে রীটটি (রীট নং ৩০৯৭/২০১৮) খারিজ হয়ে যায়। ফলে পুনরায় ২০১৭ সালের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা বলবৎ হয় । কিন্তু আলী আর্কেডস্থ তথাকথিত চেম্বার অফ কমার্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে অদ্যাবধি সাইনবোর্ড অপসারণ না করে তারা সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে জনগনকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্ট বিগত ১৬ ফেব্রুয়ারী-২০২২ তারিখে (রীট নং ১২৩২/২০২২) আবু সেন্টারস্থ কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য কোন নির্দেশনা দেননি। উল্লেখ্য মোহাম্মদ আলী গং ২০২১ সালের মাঝামাঝি করোনাকালীন সময়ে এফবিসিসিআই এর কিছু অসাধু কর্মচারীর সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে এফবিসিসিআই এর রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত বিগত দশ বছরের সমস্ত সত্যগুলো নথিপত্র অপসারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত দিক নির্দেশনা ২২-০৩-২০২০, ১৫-০৭-২০২০ অধীনে সারাদেশের বাণিজ্যিক সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা/ নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ অমান্য করে ১৮/০৬/২০২১ তারিখে মোহাম্মদ আলী সভাপতি এবং উনার পুত্র মোরশেদ মোহাম্মদ আলীকে সহ সভাপতি বানিয়ে একটি পাতানো নির্বাচন দেখিয়ে এফবিসিসিআই কমিটি জমা দেন এবং রহস্য জনক ভাবে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
পরবর্তীতে আমাদের দৃষ্টি গোচরে আসলে আমরা সাথে সাথে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে এফবিসিসিআই এর আর্বিট্রেশন বোর্ড এর শরণাপন্ন হই। বোর্ড আমাদের বৈধ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে আমাদের অস্তিত্ব / বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর এফবিসিসিআই ১১-০৮-২০২১ ইংরেজী তারিখ আলী আর্কেডস্থ কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক প্রেরিত চারজনের নাম বাতিল করে আমাদের চারজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে রায় প্রদান করেন। এফবিসিসিআই এর এই রায়ের বিরুদ্ধে আলী আর্কেডের ঠিকানা ব্যবহার করে জনাব মোহাম্মদ আলী এবং তার পুত্র মোরশেদ মোহাম্মদ আলী মহামান্য হাইকোর্ট এর শরণাপন্ন হয়।
পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট আবু সেন্টারস্থ চেম্বারের চারজন সদস্যকে এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদে সদস্য অন্তর্ভুক্তি করণের উপর ছয় মাসের জন্য (রীট নং ১২৩২/২০২২) স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। যেহেতু আবু সেন্টারস্থ চেম্বার অফ কমার্স বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কমিটি কর্তৃক পরিচালিত এবং এফবিসিসিআই এর দীর্ঘ দিনের সাধারণ পরিষদ এর সদস্য এবং নিয়মিত বার্ষিক চাঁদাও পরিশোধ করে আসছি। আমরা অতিশীঘ্রই রীট এর বাদি জনাব মোহাম্মদ আলী এবং তার পুত্র মোরশেদ মোহাম্মদ আলী কর্তৃক আনিত এফবিসিসিআই এর আর্বিট্রেশন এর উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ বাতিল করার প্রার্থণা নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হবো এবং ইনশাল্লাহ ন্যায় বিচার পাবো।
চেম্বারের কার্যক্রম বন্ধের কথা মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশে কোথাও বলা হয়নি। এটা আদেশের অপব্যাখ্যা। যে কোন স্পর্শকাতর সংবাদ ছাপানোর আগে বিস্তারিত জেনে পড়ে ছাপানো উচিত যাতে জনগণ বিভ্রান্ত এবং কোন প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন না হয়।
সচিব
কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী
আবু সেন্টার, পূর্ব বাজারঘাটা, কক্সবাজার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।