২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

বিচারাধীন ৬৬ হাজার মামলার বয়স বিবেচনায় দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে

img_20161112_190119
কক্সবাজারের আদালত সমূহে ৬৬ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি সহ মামলার বয়স বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। শনিবার (১২ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজার এর সম্মেলন কক্ষে জেলা ও দায়রা জজ, কক্সবাজার মীর শফিকুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্মেলনে জেলায় বিচারাধীন সর্বমোট ৬৬ হাজার মামলা দ্রুততার সঙ্গে ও মামলার বয়স বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত বিজ্ঞ বিচারকগণ, পুলিশ বিভাগ, র‌্যাব, বিজিবি, সরকারী আইন কর্মকর্তা ও সিনিয়র বিজ্ঞ আইনজীবিগণ সহ উপস্থিত সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সমন্বয় সাধনের আহ্বান জানান।

দেওয়ানী ও ফৌজদারী মোকদ্দমার বিচার নিষ্পত্তিতে উদ্ভুতসমস্যা ও বিলম্বের কারণ সমূহ চিহ্নিতকরণ ও উত্তরণের উপায় সম্পর্কে সভায় জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবিগণ সহ জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর জনাব মমতাজ আহমদ, জি.পি ও আইনজীবি সমিতির সভাপতি জনাব ইসহাক মিয়া, সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব আ.জ.ম. মঈন উদ্দিন, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার জনাব শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খালেদ মাহমুদ, বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার প্রমূখ বিরাজমান সমস্যা সমূহ সমাধানকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রদান করেন।

সিনিয়র সহকারী জজ অসীম কুমার দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সহকারী জজ জনাব মোঃ আবুল মনসুর সিদ্দীকী। সভায় জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জনাব ওসমান গনি, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জনাব ফখরুল আবেদীন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব অরুন পাল, জনাব নিশাদুজ্জামান, জনাব মোঃ নেজামউদ্দিন, জনাব মাহমুদুল ইসলাম, জনাব তৌহিদুল ইসলাম, জনাব সুশান্ত প্রসাদ চাকমা, জনাব মোঃ সিরাজ উদ্দিন এবং সিনিয়র সহকারী জজ জনাব শফিউল আলম, জনাব কনক বড়–য়া ও জনাব আসমা বেগম।

বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ তাঁর বক্তব্যে সম্প্রতি সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রকাশিত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারার আলোকে প্রণীত নির্দেশাবলী আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য অবশ্যই অনুসরণীয় মর্মে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন।

কর্মসূচীতে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে/অপরাহ্নে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞবিচারকগণ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ পৃথক আলোচনা সভায় নিজ নিজ প্রতিবেদন সহ দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় উদ্ভুত সমস্যা সমূহ চিহ্নিতক্রমে ভবিষ্যত কর্মপন্থা সহ সুপারিশ মালা প্রণয়ন করা হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।