অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে বিভিন্ন দেশের কারাগারে বর্তমানে ৯ হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি আটক রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ।
সরকার দলের শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আটক রয়েছে মালয়েশিয়ার কারাগারে। সেদেশের কারাগারে বর্তমানে ২ হাজার ৪৬৯ জন বাংলাদেশি আটক আছে। এছাড়া ভারতে ২ হাজার ৩৩৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ৯৮ জন, ওমানে ১ হাজার ৪৮ জন, সৌদি আরবে ৭০৩ জন, বাহারাইনে ৩৭০ জন, কুয়েতে ২৬১ জন, যুক্তরাজ্যে ২১৮ জন, জাপানে ১২৩ জন, ইরাকে ১২১ জন, কাতারে ১১২ জন, মিয়ানমারে ৯৮ জন, মেক্সিকোতে ৯৭ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৭ জন, তুরস্কে ৬৮ জন, জাপানে ৬৫ জন, ইতালিতে ৫১ জন, ফ্রান্সে ৪৬ জন, অস্ট্রেলিয়াতে ৩৯ জন, জর্ডানে ৩৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ জন, জর্জিয়ায় ২৬ জন, হংকংয়ে ২৪ জন, থাইল্যান্ডে ২৩ জন, পাকিস্তানে ১৯ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬ জন, নেপালে ১২ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১ জন, মরিশাসে ৭ জন, আজারবাইজানে ৬ জন, মিশরে, চীনে ও ব্রুনাইয়ে ৫ জন, লেবাননে ও মরক্কোতে ২ জন, কিরগিজিস্তান, মঙ্গোলিয়া ও ব্রাজিল ১ জন করে আটক রয়েছে।
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রাদায়ের যেকোনও শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার সচেষ্ট থাকবে।’
সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সন্তোষজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।’
এস এম আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকার ফলে দেশে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
মনোয়ারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পুলিশের মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৩টি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।