২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বিদ্যুৎ যাবে সব গ্রামে

দেশের সব গ্রামকে বিদ্যুতের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ১৩ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপনের দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। গতকাল একনেকের ২৯তম সভায় এ প্রকল্পসহ ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩০ হাজার ৩৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসবে ২৫ হাজার ৯০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাস্তবায়নকারী সংস্থা ৩৩ কোটি ৮০ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ৪০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায়
সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, একনেক সদস্য, প্রতিমন্ত্রী ও অন্যান্য সচিব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন । সভা-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুৎ দিতে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জন্য নেওয়া প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ১০০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার নতুন গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হবে। অপর দিকে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জন্য নেওয়া প্রকল্পে ৩৮ হাজার ১০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৩৬ সমিতির আওতায় ১৩ লাখ ৩০ হাজার নতুন গ্রাহককে সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের ফলে মোট ২৭ লাখ গ্রাহক পল্লীবিদ্যুতে যুক্ত করা হবে। ফলে শতভাগ মানুষ বিদুত্যের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, একনেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু বিদ্যুতের লাইন নয়, বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পেঁৗছে দিতে হবে। এ ছাড়া এখন থেকে যেখানেই রেললাইন তৈরি হবে, সেখানেই ওভারপাস নির্মাণে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে সরকার। এই ৪৭ কিলোমিটারের মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আগে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, ইউটিলিটি স্থানান্তরে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। তিন হাজার ২১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চলমান সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো_ ৮৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। তিন হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্প। এক হাজার ২৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে। ২১১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও চওড়া করার প্রকল্পটিও অনুমোদন পেয়েছে গতকাল। ৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এ ছাড়া ৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দরসেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও হাইকমিশনারের বাসভবন নির্মাণ এবং ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার জেলার ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারের পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।