২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

বাংলাদেশকে ২৪০২ কোটি টাকার (৩০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি হয়েছে। চুক্তি সই হওয়ার পর এক সংবাদ বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে ওই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ওই চুক্তির আওতায় দেশের ৪,৫৫০টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সরাসরি জাতীয় বাজেটের বরাদ্দ হস্তান্তর এবং তার পরবর্তী হিসাব-নিকাশ করার কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।

সোমবার ঢাকায়, বিশ্বব্যাংকের শেরে বাংলা নগর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইকোনমিক রিলেশন্স ডিভিশন-ইআরডি) এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ-ভুটান ও নেপাল অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান চুক্তিতে সই করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তির মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। ত্বরান্বিত হবে প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ।

চুক্তি সই হওয়ার পর এক সংবাদ বিবৃতিতে চিমিয়াও ফ্যান দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া উদ্যোগকে সহায়তা দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক। ২০০৬ সালে এসে তারা প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করে। এরইমধ্যে স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প-১ এবং স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প-২ নামে এ সংক্রান্ত দুইটি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে বিশ্বব্যাংক। আগের সেই দুইটি প্রকল্পের সাফল্য দাবি করে বিশ্বব্যাংক জানায়, এবার স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্প-৩ সফলভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন তারা।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় বাজেট বরাদ্দের একটি ধরন হলো ডিসক্রিয়েশনারি ফান্ড। এই তহবিল ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ অব্যবহৃত অবস্থায় থেকে যায়। সংবাদ বিবৃতিতে কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান জানান, ২০০৬ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ওই অর্থ ব্যবহারের পরিমাণ ১১ ভাগ বেড়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে বরাদ্দকৃত ওই অর্থ ব্যবহারের পরিমাণ দশমিক ২ শতাংশ ছিল, ২০১৬ সালে এসে তা ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২.২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ববর্তী দুটি প্রজেক্টের সফলতার ওপর ভর করে তৈরি করা এ প্রকল্পটি দেশজুড়ে সাড়ে ১১ কোটিরও বেশি মানুষকে সুবিধা দেবে। প্রকল্পের আওতায় আটটি বিভাগের ১৬টি পৌরসভায় একটি ফিসক্যাল লেনদেন ব্যবস্থা পরিচালনা করা হবে।

বিশ্বব্যাংক ২০০৬ সাল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। চুক্তির আওতায় বিশ্বব্যাংককে ঋণের ছাড়কৃত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। এ ঋণের অর্থ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদে থোক বরাদ্দের অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, প্রকল্পের প্রথম তিন বছর ইউনিয়ন পরিষদে ফরমূলাভিত্তিক মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রদান নিশ্চিতকরণ, সুনির্দিষ্ট দক্ষতা সূচকের ভিত্তিতে ইউপিগুলোর জন্য দক্ষতাভিত্তিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, ইউপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য স্থাপিত ওয়েবভিত্তিক এমআইএস পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সব ইউপিতে অডিট ও দক্ষতা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, সব ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পাইলট ভিত্তিতে ১৬টি পৌরসভাতে সম্প্রসারিত থোক বরাদ্দ চালু করা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।