২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

বিশ্বের প্রথম আলো বিকিরণকারী ব্যাঙ

বিশ্বে এই প্রথম একটি ব্যাঙের খোঁজ মিললো যার শরীর থেকে আলোর বিকিরণ ঘটে। প্রতিপ্রভা এই ব্যাঙটি পাওয়া গেছে আর্জেন্টিনার অ্যামাজন অববাহিকায়।

বুয়েন্স আয়ার্সের বার্নার্দিনো রিভাদাভিয়া ন্যাচারাল সায়েন্সেস মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরা এই ব্যাঙের আবিষ্কারক। তারা মূলত পোলকা-ফোঁটাযুক্ত এক ধরনের প্রজাতির গেছো ব্যাঙের খোঁজ করছিলেন। সেই খোঁজাখুঁজিতেই আচমকা পেয়ে যান প্রতিপ্রভা ব্যাঙটি।

সাধারণ আলোতে ব্যাঙটিকে ম্যাটমেটে ধুসর-সবুজাভ মনে হবে গায়ে লাল ছোট ছোট ফোটা। কিন্তু ঝকঝকে অতি বেগুনী আলোকরস্মি পড়লে এটি উজ্জ্বল সবুজ রঙ ধরে। আর গা থেকে আলো বিকিরিত হতে থাকে।
প্রতিপ্রভা- যা স্বল্প দূরত্ব থেকে অালো ধারণ করে অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর দূরত্বে তার বিকিরণ ঘটাতে সক্ষম, এমন প্রাণীর সংখ্যা পৃথিবীতে বিরল।

গত ১৩ মার্চ বিজ্ঞানীরা তাদের এই আবিষ্কারের খবরটি প্রকাশ করেন ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর প্রকাশনায়। তাতে তারা বলেছেন, ব্যাঙটির শরীর থেকে বিকিরণের ফলে এর চারিদিকে সাধারণ আলো ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।

পোলকা-ফোঁটাযুক্ত গেছো ব্যাঙের নীল-সবুজাভ ব্যাঙগুলোর মাঝেই হঠাৎ বিজ্ঞানীরা বাড়তি আলোর বিচ্ছুরণ দেখতে পেলেন আর পেয়ে গেলেন এই বিরল ব্যাঙটিকে।

এই আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা উভচর এই প্রাণিটির মধ্যে আরও এমন প্রতিপ্রভার সন্ধান পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। বিশেষ করে এই ব্যাঙটির মতো আলোকপ্রবাহী ত্বকের গেছো ব্যাঙ এই অঞ্চলে আরও থাকতে পারে বলেই ধারণা তাদের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে যারা জঙ্গলে যাবেন তারা সাথে করে অতি বেগুনী আলোর ফ্ল্যাশ লাইট নিয়ে গেলে ভালো করবেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।