২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বৃষ্টির অজুহাতে সবজির দামে আগুন

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিকে অজুহাত করে সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সব সবজির দামই বেড়েছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অতিবৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে রাজধানীতে সবজির সরবরাহ কম। পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতিদিন যে পরিমাণ সবজি সরবরাহ হওয়ার কথা এখন তার অর্ধেকের কম আসছে। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন বাজারে যান স্থানীয় বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন। সবজি ব্যবসায়ীদের ওপর তিনি বেজায় ক্ষিপ্ত। এই প্রতিবেদককে সামনে পেয়ে বলেন, রাজধানীতে তো সবজির আকাল পড়েনি। দোকানগুলো পণ্যে ভরপুর। এর পরও বৃষ্টির অজুহাত তুলে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়ছে।

বেশির ভাগ সবজির দাম বাড়লেও আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে বাজারদরের এই চিত্র উঠে আসে।

রামপুরা, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, শান্তিনগর, মোহাম্মদপুরেও দেখা গেছে টমেটো কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০, বেগুন ৫০-৬০, শিম ৫০-৬০, শসা ৪৫-৫০, কচুর লতি ৪০-৬০, পটল ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৬০, ঝিঙা ৫০-৭০, চিচিঙ্গা ৫০-৭০, করলা ৪০-৬০, কাকরোল ৬০-৭০, কচুর মুখি ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা কেজিতে। গরুর মাংস আগের দামেই (৪৮০-৫২০ টাকা) ও খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোলা, আদা ও রসুনের দাম বিনা কারণে বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। ছোলা এখন ১০০ টাকা কেজি। তবে অন্যান্য ডালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রমজানে বেশি চাহিদা থাকায় বেগুন ও ফুলকপির দাম দিগুণ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আহমেদ সুমন বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় সবজি তোলা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কিছু স্থানে সবজি পচেও গেছে। তাই সরবরাহ কিছুটা কমেছে।

মাছের বাজারও চড়া। কারণ বৃষ্টির পানিতে নদ-নদীতে পানি বেড়ে গেছে। এতে কম মাছ ধরা পড়ছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০, কাতলা ৩৫০-৪০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০, সিলভার কার্প ১৫০-২০০, চাষের কই ২০০-২৫০, পাঙ্গাশ ১৩০-১৮০, টেংরা ৬০০, মাগুর ৬০০-৮০০, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০, ইলিশ ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।