‘চুরি, ডাকাতি, ‘ইয়াবা, মানবপাচার, জাল টাকার ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের হুতা রুবেল আবছার ওরফে রুবেল্ল্যা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিন দিন তার অত্যাচারে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এমনকি তার যন্ত্রনায় রয়েছে খোদ তার পরিবার পরিজন। স্থানীয় এলাকাবাসি এলাকার আইশৃংখলা শান্ত রাখতে রুবেল আবছরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, উখিয়া উপজেলা হলদিয়াপালং পাগলিরবিল গ্রামের জাফর আলমের ছেলে রুবেল আবছার মাদক ও ইয়াবা ব্যবসার সুযোগে জাল নোট ব্যবহার করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে।
বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু আচঁ করতে পেরে এসব জালনোট পাচার ও ব্যবহারকারীদের ধরার জন্য ফাঁদ পেতে। গত ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু ৩লক্ষ ৮হাজার টাকা জালনোট উদ্ধার করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করেন। এই ঘটনায় ওই সময়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু বাদী হয়ে জালনোট ব্যবহারকারী ৪জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে উখিয়া থানার পুলিশ মরিচ্যা বাজার থেকে জাল নোট ব্যবহার কারীর প্রধান হোতা রুবেল আবছারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ডাকাতিসহ ৩/৪ টি মামলা বিচারাধীন আছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া ২০০৮ সালের দিকে উখিয়ার কোটবাজার এলাকায় প্রবাসীর বাড়ি ডাকাতি করে রুবেল আবছারের নেতৃত্বে একদল ডাকাত। তৎসময়ের ওসি সিরাজ উল্লাহ ভ’ইয়ার নেতৃত্বে তাকে আটক করেন এবং তার কাছ থেকে গিরিল কাটার যন্ত্র উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় সে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে এসে বিদেশ পাড়ি জমাই।
দীর্ঘদিন বিদেশ থাকার পর আবারো এলাকায় ফিরে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতিক সময়ে সে ইয়াবা, মানবপাচারে জড়িয়ে পড়ে।
উখিয়া সোনারপাড়া এলাকার আলোচিত নারী রেবি ম্যাডামের অন্যতম সহযোগি বলে সূত্র জানায়।
এছাড়া পাশ^বর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে খোলা বাজারে ইয়াবা বেচা-বিক্রিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে এই রুবেল আবছারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুক এ ইয়াবা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে মোহনা টেলিভিশনের সাবেক কক্সবাজার প্রতিনিধি সুজল কান্তি পালকে হুমকি দেয়। এই ঘটনা নিয়ে সুজল কান্তি পাল উখিয়া থানার ওসি/তদন্তকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সর্বশেষ গত কয়েক দিন আগে পাগলিরবিল এলাকায় একটি ফুটবল খেলা অনুষ্টিত হয়। ওই খেলাতে সাবেক সেনা সদস্য সাইফুল ইসলামের উপর হামলা চালায় রুবেল আবছার।
এ ঘটনার পর সে আতœগোপনে রয়েছে। ওই মারধরের ঘটনা স্থানীয় হলদিয়পালং ইউপির ভারপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিনের কাছে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
হলদিয়পালং ইউপির ভারপ্রাপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন রুবেল আবছারের অপকর্মের কথা স্বীকার করে বলেন, অত্যান্ত একজন খারাপ ছেলে সে। তিনি সাইফুল এর উপর হামলার ঘটনায় সুষ্টু বিচারের আশ^াস দেন।
হলদিয়পালং ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু জানান, উপজেলা ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে হলদিয়াপালং ইউনিয়নটি খুবই শান্ত এলাকা। কেউ অশান্তি সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি ২০০১৪ সালে রুবেল আবছারকে জাল টাকাসহ আটকের কথা স্বীকার করেন।
উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান জানান, কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে রুবেল আবছারকে গ্রেফতার করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।