শহরের কলাতলীর সী ওয়েলকাম রিসোর্টে পুলিশী অভিযানে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ওষুধসহ ৩
জনকে আটকের পর বেরিয়ে আসছে অনেক অজানা তথ্য। ধনাঢ্য ভাড়াটিয়া শিহাব রিসোর্টটি
ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও এর আড়ালে ছিলো ভিন্ন এক জগৎ। মূলত ভিআইপ কলগার্লদের সেবা
প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় সী ওয়েলকাম রিসোর্ট। আর সুন্দরী কলগার্লদের সেবাপ্রার্থীরা ছিলেন
শিহাবের উপরতলার বন্ধু বান্ধব। এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অনেক বিদেশীরাও সেবা নিতে
আসতেন তার ভাড়ায় চালিত ওই রিসোর্টে।
একটি আবাসিক রিসোর্টকে রাতারাতি যৌন সেন্টার বানানো, যৌন উত্তেজক ওষুধ ব্যবসার
গোডাউন করা ছাড়াও ওই রিসোর্টের ভাড়াটিয়া শিহাব একজন উচু মাপের হু-ি ব্যবসায়ী।
দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি হু-ি ব্যবসা চালিয়ে
আসছেন। সম্প্রতি পারভীন নামের এক মহিলার আবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। ঢাকায় জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর শিহাবের বিরুদ্ধে আবেদনটি করেছিলেন তিনি।
ওই আবেদনে পারভীন দাবি করেন, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার থানার পাশের্^ শিহাব কে
য়ক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫০০ শতক জমি ক্রয় করেন। কক্সবাজার শহরেই তার অর্ধশত কোটি টাকার
উপরে বিনিয়োগ রয়েছে। কলাতলীতে ৭টি ফ্ল্যাট, ১টি রেস্টুরেন্ট, ১টি আবাসিক হোটেল এবং
২টি প্লটের মালিক তিনি। এ ছাড়া নোয়াখালীর বসুরহাটে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডে নামে-
বেনামে পনের কোটি টাকার মতো রয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি যথাযথভাবে আয়কর পরিশোধ করেন
না।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারি কমিশনার (সার্কেল-১২) কোম্পানিগঞ্জ মোহাম্মদ আরিফুল
ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে শিহাব উল্লাহ্ আয়কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে নথি তলব করা হয়।
পরবর্তীকালে তিনি সেই নোটিশের কি জবাব দিয়েছিলেন তা জানা যায় নি।
এদিকে রিসোর্টটি ভাড়া নিয়ে পাহাড় সমান অপকর্মকে সঙ্গী করে রামরাজত্ব কায়েম করার
বিয়টি রিসোর্টের প্রকৃত মালিক বদরুল হাসান মিল্কির নজরে আসলে তিনি বিয়টি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেন। বদরুল হাসান মিল্কির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ শিহাবের ভাড়াধীন কলাতলীর হোটেল সী ওয়েলকামে অভিযান
পরিচালনা করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধসহ শিহাবের ৩ কর্মচারীকে
আটক করে পুলিশ। অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যায় শিহাব।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।