কক্সবাজার শহরতলীর বড়ছড়া গ্রামে প্রস্তাবিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি বহিরাগত কুচক্রি মহল প্রভাবশালীদের ইন্ধনে এমন অপতৎরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আজ শনিবার রাতে বড়ছড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত এলাকাবাসীর এক জরুরী সভায় এ অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়েছে। অন্যথায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণার হুমকী দেয়া হয়েছে।
সভায় বলা হয়েছে, বড়ছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ নিয়ে এখনও গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কুচক্রি মহল। যার ফলে স্কুলের নির্মাণ কাজ ২ বছরেও শুরু করা যায়নি। এ কারণে এলাকার কয়েক শত শিশু শিক্ষাবঞ্চিত রয়েছে। এতে শিক্ষাদীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে কক্সবাজারের ভূ-স্বর্গ নামে পরিচিত বড়ছড়া গ্রামটি। অথচ এই গ্রামে একটি সরকারী আশ্রায়ন প্রকল্প ছাড়াও আশেপাশে কয়েক হাজার মানুষের বসতি রয়েছে। রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রও।
এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে স্কুল নির্মাণের প্রক্রিয়া চললেও বহিরাগত জবর দখলবাজদের বাধার কারণে নির্মাণ কাজে বিলম্ব ঘটছে। এছাড়া এই এলাকায় আরো কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এ কারণে কুচক্রি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে বড়ছড়া গ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত করার চক্রান্ত চালাচ্ছে।
এলাকাবাসী চলতি সপ্তাহের মধ্যে স্কুলের নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবী জানিয়ে বলেন- অন্যথায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বী ও ব্যবসায়ী কাজী আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আহমদ গিয়াসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামসুল আলম, নজির আলম, ছৈয়দ আলম লেডু, নাছিরউদ্দিন, নুরুল আবছার, নুরুল হাকিম, আবু ফরহাদ, আবদুল করিম, কাছিম সওদাগর, মোহাম্মদ ইদ্রিস, বেলাল হোসেন, আবদুস সালাম মাঝি, জয়নাল আবেদীন, মোহাম্মদ সাহেদ, মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ দিলু, মোহাম্মদ মনজুর আলম মাঝি, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, মনির আলম, মোহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ সালাম, মোহাম্মদ শফিক, মোহাম্মদ হোসেন, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ তালেব, রফিকুল ইসলাম, শফি আলম ও নেজামউদ্দিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার স্কুলবিহীন ২৭টি গ্রামে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য সরকার ২০১৩ সালে অর্থ বরাদ্দ দেয়। এরই অংশ হিসাবে ঝিলংজা ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামে একটি স্কুল নির্মাণের জন্য ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে স্কুলের নামে জমি বন্দোবস্তিও দেয়া হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।