জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাঈদ আলমগীরের ফেইজবুক থেকে হবহু তুলে ধরা হলো…
“ভাল থাকিস মা…
পুরো পরিবারের (মাস্টার ভিলার) প্রাণের স্পন্দন হয়ে এসেছিলি ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টায়। সহজ ভাবে না এসে কাটালি মায়ের পেট! কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জন্মের পর মায়ের সাথে এক সপ্তাহ ছিলি হাসপাতাল। তোকে পেয়ে তোর পক্ষাঘাতে আক্রান্ত দিদা অসুস্থ শরীর নিয়েই রয়ে গিয়েছিল তোর সাথে। সবাই মাথায় করে রাখার মতো তোরে আগলে রেখেছিল। তোর আগমনে খুশি হয়ে অল্পদিনেই আকিকার আয়োজনে ইছালে ছওয়াব মাহফিলও করেছে তোর দাদা, চাচারা। নিজেদের নামের সাথে মিলিয়ে তোর বড় ফুফি নাম রেখেছে উম্মে আয়মন তাহিয়া। সেটি কাগজে কলমের নাম হলেও আমার মায়ের কাছে (তার দাদি) তুই ছিলি সোহাগী আর অন্যদের কাছে ছিলি বাবুনি। অল্পদিনের মাঝে তুই নানাবাড়িও ঘুরে এসেছিস। নানা বাড়িতেও পেয়েছিস আদর। তোর আফরোজা আপু ছিল তোর পাগলা ঘোড়া। তুই আসার পর থেকে তোর কান্না শুনতে, মুচকি হাসি দেখতে মন উতলা হয়ে থাকত। পেশাগত কাজে জেলা সদরে অবস্থান করলেও তোর কাছেই পড়ে থাকত মনটা।
তোকে নিয়ে ইচ্ছেছিল অনেক। চিকিৎসকদের অনেকে মানুষের অসহায়ত্ব (অসুস্থতা) নিয়ে বাণিজ্য করে দেখেছি। তাই তোকে ডাক্তার হবার মন্ত্রণা দেব বলে মনস্থির করেছিলাম। এর প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে একটি শিক্ষাবীমাও চালুর প্রক্রিয়া গুছিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু সব…
তোর আয়ূকাল মাত্র ৪০দিন পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু তোকে দেখে সবাই ধারণা করতো তোর বয়স তিন-চারমাস পার হয়েছে। গায়ের ত্বকটা পেয়েছিলি দুধে আলতা। এক কথায় সবার আদরের মধ্যমনি। কিন্তু কে জানত তুই এত অল্প সময় নিয়ে আমাদের মাঝে এসেছিলি…
তোর ঠান্ডা লাগাটা হয়তো আরো কয়েকদিন আগে হবে। তবে, তোর নাদুসনুদুসতায় কেউ ঠের পায়নি…
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা চট্টগ্রামের মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের NICU তে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারই প্রতিশোধ নিলি এভাবে ব্যাথার সাগরে ফেলে-
যার কাছ থেকে এসেছিলি- গেলিতো তারই কাছে; তাঁর সাথেতো আর আড়ি ধরা যায় না- তাই বলি যেখানে থাকিস ভাল থাকিস;
তোর অভাগা এ বাবাটাকে ক্ষমা করিস মা…”
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।