বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করে আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানান দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কৌশলগত আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছে দলটি। ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিতে বিধ্বস্ত বিএনপিতে চাঙ্গাভাবও ফিরে এসেছে।
ফেরামের এক নেতা জানান, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন এবং দফায় দফায় আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ইঙ্গিতও দিচ্ছিল রাজনৈতিক মহল। এতে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করাটা হাইকমান্ডের জন্য অনেক কঠিন থাকলেও ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার একটা আভাস নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছে।
ভিশন-২০৩০ সম্পর্কে প্রভাবশালী এক নেতা জানান, ভিশন ২০৩০ উপস্থাপন করে এর কাজ শেষ হচ্ছে না বরং শুরু হচ্ছে। কীভাবে এই ভিশন সফল করা যায় সেদিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এই ভিশনের কার্যক্রম শুরু করতে হলে নির্বাচনী জয়লাভের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচনী প্রস্তুতি এখন থেকে পুরোদমে শুরু করতে হবে।
এদিকে ‘ভিশন ২০৩০’ সফল করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ৫১টি টিমকে। তারা মূলত আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য মাঠের অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন।
এছাড়া নির্বাচনে বিজয়ের জন্য করণীয়, কোনো প্রার্থী হলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি হবে, কাকে দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব হবে, সুবিধাবাদীরা যাতে আবারো সুযোগ নিতে না পারে ইত্যাদির পাশাপাশি ভিশনকে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে ইতিবাচক ফল পাওয়ায় উপায় খোঁজ করছেন।
এদিকে আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ের জন্য একটি বিশেষ টিম লাগানোসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজে বিদেশ সফরও করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য. ১০ মে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনী ইশতেহারের আদলে ২৫৬ অনুচ্ছেদের ভিশন-২০৩০ শিরোনামে দেশ, রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক বিষয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ঘোষিত ভিশনটি যে নির্বাচনকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট।
সূত্র: যায়যায়দিন
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।