একবার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একপ্রার্থীর পক্ষে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্যের একটা সাবমিশন দিয়েছিলাম, বিচারক মহোদয় আমাকে বল্লেন,আপনার বক্তব্যটা মামলার মুল আরজির বাইরে আলাদা দরখাস্ত আকারে দেন,আমি মামলাটি গ্রহনযোগ্যতা শুনানীর জন্য রাখি।আমি যথারীতি একদিন পর আলাদা আবেদনে আমার বক্তব্য জমাদিলাম,বিচারক মহোদয় প্রকাশ্য আদালতে শুনানি নাকরে আমাকে উনার খাস খামরায় দেখা করতে বল্লেন,আমি যথারীতি উনার সাথে দেখা করতে গেলে অনেক আপ্যায়ন করার পর বল্লেন আপনি কবরে যাবেন? না ঘরে যাবেন?ঘরে গেলে দরখাস্ত নিয়ে যান আর কবরে গেলে রেখে যান,আমি দরখাস্ত আর মামলা দুটিই নিয়ে আসছিলাম।কি ছিল ঐ আবেদনে ?আমি ঐ আবেদনে ভোট চুরী ধরার পদ্ধতিটা দেখিয়ে দিয়েছিলাম,যেমন, করিম,রহিম,শফিক, জব্বার এই রকম অনেকে ভোট দিয়েছে ব্যালট দিয়ে ভোট সম্পন্ন হয়েছে,তাদের ব্যালট বক্সে গিয়ে অন্য ব্যালটের সাথে মিশে গেলেও মুড়ি /মুন্ডা নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হাতে থেকে যায় যেখানে ভোটার নম্বর স্বাক্ষর টিপসহি থাকে,এবার প্রতি মুন্ডা থেকে নম্বর নিয়ে ভোট দেয়নি বা পুরো একটা মুন্ডার বা সন্দেহজনক মুন্ডার গৃহীত সকল ভোটারের স্বাক্ষর / টিপসহি নিয়ে মুন্ডায় রক্ষিত টিপসহি নিয়ে সি আই ডি পাঠিয়ে ফরেনসিক,রাসায়নিক পরীক্ষা করে মিলালে মুন্ডাতে রক্ষিত টিপসহি/স্বাক্ষরের সাথে নতুন কর নেওয়া স্বাক্ষরের সাথে মিলে গেলে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে মিলেনাগেলে চুরী বা জালিয়তি হয়েছে,নির্বাচন বাতিল হবে যার ভোট সে দিতে না পারার কারনে।এই কথা বিচারক পড়ার পর তিনি বল্লেন চোর যে পদ্ধতিতেই চুরি করুকনা কেন, মানুষ ঠিকই চোর ধরার পদ্ধতি বের করে ফেলবে তবে আমি আপনাকে ভাল জানি দেশের এপরিস্তিতে আপনার এ আবেদন আপনার বড় বিপদের কারন হতে পারে এই দরখাস্ত আপনি নিয়ে যান কাউকে বলারও দরকার নেই। সেই না বলা কথা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরে কিছুটা হালকা অনুভব করছি ধন্যবাদ সবাইকে। চোর যতই শক্তিশালী হোক একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে তাকে আটকানো যায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।