ভ্রমণ পিপাষুদের নজর কাড়ছে নির্মাণাধীন ফুটবল ভাস্কর্য। পর্যটকদের মাঝে তৈরি হয়েছে নানা কৌতুহল। ‘‘কি হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাইপাস চত্বরে ?’’। অল্প কিছু দিন পরই দৃশ্যমান হতে চলেছে একটি দৃষ্টিনন্দন ফুটবল ভাস্কর্য। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকত নন্দিনী কক্সবাজারে প্রবেশের সময় ভাস্কর্যটির দেখা মিলবে। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা রামু-কক্সবাজারের ফুটবল ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন ধারণা পাবেন। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবে ভ্রমণ পিপাষু মানুষের। বুদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য যুক্ত হতে চলেছে আরও দৃষ্টিনন্দন ফুটবল ভাস্কর্য।
ফুটবল ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাইপাস মোড়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল ভাস্কর্য। এ ফুটবল ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছেন কক্সবাজার- ৩ (সদর-রামু) আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল। সাবেক কৃতি ফুটবলার নবু আলম, তরুপ বড়–য়া ও প্রবাল বড়–য়া নিশানের তত্ত্বাবধানে ফুটবল ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাইপাসে ফুটবল ভাস্কর্য নির্মিত হওয়ায় খুশী জেলার সাবেক ও বর্তমান কৃতি ফুটবলাররা। প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে ফুটবলপ্রেমি মানুষের মাঝে। বিশালাকৃতির ফুটবল ভাস্কর্যে খোদাই করে লেখা থাকবে যুগযুগ ধরে ফুটবলে বিশেষ অবদান রাখা সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের নাম।
সাবেক কৃতি ফুটবলার রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পলক বড়–য়া আপ্পু ও সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারী আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ফুটবল ভাস্কর্যটি খেলোয়াড়কের প্রতি অনন্য সম্মান। আদিকাল থেকে ফুটবলকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারাদেশে কক্সবাজার ও রামুর ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। রামু-কক্সবাজারের সন্তানরা জাতীয় পর্যায়ে ফুটবলে অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। ফুটবল ভাস্কর্য এ অবদানের স্বীকৃতি বলে জানান তারা।
রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের উদ্যোগ নিঃসন্দের প্রশংসার দাবী রাখে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে রামু অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক এগিয়ে।
একটি জাতিকে সমৃদ্ধ করতে কর্মমুখী করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। যেই সব যুবক আজ মাদকের বিষাক্ত থাবায় নিজেকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে ও সমাজকে কলুষিত করছে; তারা মাদক ছেড়ে খেলাধুলায় মনযোগি হবে। এটি তাদের জন্য একটি ম্যাসেইজ- বলেন রিয়াজ উল আলম।
এ প্রসঙ্গে আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি জানান, রামু একটি সমৃদ্ধ জনপদ। এ উপজেলার মানুষ অত্যন্ত সম্প্রীতিবদ্ধ। শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, সাহিত্য সর্বক্ষেত্রেই বিগদ্ধ গুণীজনরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। আমরা শুধু ফুটবলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিবছর বাঁকখালী নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় চলে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। নৌকা বাইচ আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির একটি অংশ। এ সংস্কৃতি ধরে রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।