২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

ভয়াবহ বন্যায় উখিয়ার গ্রামীন জনপদ লন্ডভন্ড

সম্প্রতিক সময়ের টানা বর্ষন সাগরের জোয়ার ও প্রবল পাহাড়ী ঢলের কারনে গত ৫ জুলাইয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যার কারনে উখিয়া উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর গ্রামীন সড়ক উপসড়ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পানির তীব্র স্রোতের টানে গ্রামীন জনপদের বেহাল অবস্হা বিরাজ করছে। ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার অধিকাংশ ব্রীজ কালভার্ট বিধবস্ত হওয়ার পাশা-পাশি সড়কের নিদারুন ভাঙ্গন জন্য এলাবাসীর যাতায়ত ও যানবহন চলাচলের উনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরজমিনে দেখাযায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ ৫ জুলাইর ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছে। ঐ সব গ্রামে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে শত শত কাচা ঘর বাড়ি বিধবস্ত হয়ে বানের স্রোতে তলিয়ে যায়। বসত বাড়ী সহায়সম্বল হারিয়ে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে তীব্র খাদ্য সংঘটে পড়ে অনাহারে অর্ধহারে দিনাতিপাত করে আসছে, তিন দিন অতিবাহিক হয়ে গেলেও অনেক বাড়ীর চুলাই আগুন জ্বালাতে পারেনি।
রাজাপালং, রত্নাপালং, হলদিয়াপালং,জালিয়াপালং ও পালং খালী ইউনিয়নের শতাধিক মৎস ঘের, প্রজেক্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে যায়।
এবারের বন্যা ৫জনের মৃত্যু ছাড়ািপটচজড়ও অবিরাম বর্ষনে স্রোতের তিব্রতার ফলে অভ্যন্তরিন গ্রামীন সড়ক গুলো লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উক্ত সড়কের ভয়াবহ ভাবে ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দুর দুরান্তের বাসিন্ধাদের মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে যাতায়ত করতে হচ্ছে। ঘটে যাওয়া তীব্র বন্যা সবছেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার হলদিয়াপালং, জালিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়ন, এসব ইউনিয়ন গুলো নিন্মঞ্চলীয় এলাকা হওয়াতে বন্যার অধিক শিকার হতে হয়েছে ঐ এলাকার বাসিন্ধাদের। হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, অঝুর ধারায় বৃষ্টি পুর্ব পার্শের পাহাড়ী ঢল ও পশ্চিমের সাগরের জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়ে মানুষের জানমালের অনাকাংখিত ক্ষতির কারনে হলদিয়ার অনেক মানুষ ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখিন হয়ে পড়েছে, রূমখাঁ কুলাল পাড়া, মাতবর পাড়া, চৌধুরী পাড়া, ক্লাস পাড়া, মৌলভী পাড়া, জনাব আলী পাড়া বড়বিল এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামীন সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন জালিয়াপালং উপকূলীয় অঞ্চল হওয়াতে বন্যায় ক্ষতির পরিমান বেশী, বানের পানিতে ভেসে গিয়ে এক স্কুল ছাত্রীর মুত্যু ছাড়াও ভেসে গেছে অনেক গেরেস্তের গাবাদি পশু হাসঁ মুরগী সহ প্রয়োজনীয মালামল, পুরো বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ী, এদিকে রত্নাপালং ইউনিয়ন বাসীদের মাঝে তীব্রক্ষোভের সৃষ্টি লক্ষ করা গেছে, ভয়াবহ বন্যার চার দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ কোন জন প্রতিনিধি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ খবরে এগিয়ে আসেনি। রত্নাপালং ইউনিয়নে তীব্র পানি বানের শিকার হয়েছে পশ্চিম রত্না, পুর্বরত্না, সাদৃকাটা, টেকপাড়া, থিমছড়ি তেলীপাড়া সহ নিন্মঞ্চলীয় এলাকার মানুষ। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়ি ঘর তলিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ শত ধ্বংস হয়ে দেড় হাজার মানুষ বর্তমানে চরম বিপর্যয় ও অসহায় হয়ে পড়েছে, পুর্বরত্না মৃত অমুল্য বড়ুয়ার পুত্র স্কুল ছাত্র ইতুন বড়ুয়া (১৩) ও সাদৃকাটা গ্রামের মৃত আবু শমার পুত্র কামাল উদ্দিন মিস্ত্রী (৬০) বন্যার পানিতে নিহত হলেও তাদের পরিবারের প্রতি জানাতেও কোন জন প্রতিনিধি যান নি, তবে উপজেলা জামায়তে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ নিহত ইতুন বড়ুয়ার মায়ের সাথে দেখা করে আর্থিক সাহযোগিতা করেছে।
বন্যার পরদিন থেকে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী বন্যা কবলিত রত্নাপালং পরিদর্শন করলেও কোন জন প্রতিনিধি দুর্গত মানুষের পাশে দাড়াযনি বলে অনেক বাসিন্ধা ক্ষোভের সাথে জানান। কোটবাজার ভালুকিয়া রোড়ের বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী ইসকান্দর মির্জা চৌধুরী বলেন বিগত কোন বন্যায় কোটবাজার ষ্টেশন পানি উঠেনি, গত ৫ তারিখের ভয়াবহ বন্যায় কোটবাজারের ভালুকিয়া রোড়, সৈকত রোড়,মসজিদ রোড়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ ক্ষতি করলেও কোন জনপ্রতিনিধির দেখা মেলেনি। তিনি কোটবাজার এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার জন্য পাহাড়ি ঢল, খাল বেদখল ও পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে অব্যবস্হাপনায় গড়ে তোলা দালান এবং সীমান প্রাচীর নির্মানকে দায়ী করেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।