জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান। তিনি বলেন, ‘মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘মকবুল যে রাজাকার ছিলেন সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। আমাদের কাছে এতদিন অভিযোগ ছিল না। একটি অনলাইনে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত যাই। এখনও প্রাথমিক তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে কিনা সে বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’
ধানমণ্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নানের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন মকবুল। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ফেনী গেছেন ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা।
মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতারের পর বিগত প্রায় ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তিনি আত্মগোপনে থেকেই দল পরিচালনা করেছেন। বাংলা ট্রিবিউন
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।