জেলার অন্যতম ক্রাইমজোনখ্যাত মহেশখালীর হেতালিয়া ও উমখালী এলাকার চিংড়িঘের ও স্লুইস গেইট দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় দখলবাজ ফেরদৌস ও এনাম বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত ও ১ কর্মচারীকে প্রতিপক্ষরা ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয়রা।
অপহৃত মহিউদ্দিন হোয়ানক বড়ছরা স্লুইস গেইট এর কর্মচারী এবং ওই এলাকার মৃত মনজুর আহমদের ছেলে।
এ সময় উমখালী প্রজেক্ট থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার বাগদা চিংড়ি লুট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
লুটকালে দুইজনকে আটক করেছে শ্রমিকরা।
তারা হলো- ওই এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে শাহাব উদ্দিন ও হোসাইন আহমদের ছেলে নুরুল হক প্রকাশ বার্মাইয়া।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থেমে সংঘর্ষ চলছে।
এই রিপোর্ট লেখাকালে পুরো এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
দুই পক্ষের আগ্নেয়াস্ত্রের কাছে পুলিশ প্রশাসনও অসহায় হয়ে পড়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, হেতালিয়া ও উমখালী এলাকার চিংড়িঘের দখল-বেদখল নিয়ে ফেরদৌস ও এনাম বাহিনীর মধ্যে তুমুল বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে চিংড়িঘের এনাম বাহিনীর দখলে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, চিংড়িঘের থেকে এনাম বাহিনীকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও আশপাশের বসত বাড়ীতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করে রেখেছে ফেরদৌস বাহিনী। ঘটনায় এসব সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এই দুই বাহিনীর কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, চিংড়িঘের দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এরকম একটি সংঘর্ষের কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানিনা।
ওসি বলেন, আমি একটি মিটিং-এ আছি। বের হয়ে আপনাকে জাানচ্ছি।
এদিকে স্থানীয় স্লুইস গেইট পরিচালনা এবং চামারপারি পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আবু ইব্রাহীম নামের এক ব্যক্তি স্লুইস গেইট ও আশপাশের চিংড়ি ঘেরকে কেন্দ্র করে মারাত্মক সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে মহেশখালী থানায় ডায়েরী করেছিলেন।
সেখানে বাদী আবু ইব্রাহীম উল্লেখ করেছেন, ২০১২ সাল থেকে তিনি কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ওই স্লুইস গেইট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। ওই স্লূইস গেইট সংলগ্ন এলাকার উমখালী ও গেতালিয়া চিংড়ি ঘেরে ২/৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। এখন চিংড়ি ধারার সময় হয়েছে। এলাকার চিহিৃত একদল দখলবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উচ্ছেদ করে স্লুইস গেইট ও চিংড়িঘের দখল এবং কোটি টাকার চিংড়ি লুট করার পায়ঁতার করছে।
ডায়রীতে তিনি স্থানীয় ফেরদৌস, মোস্তফা কামাল, ফিরোজ ওয়াহিদ শামিম, কায়সুল কবির সোহেল, জাগির হোসেন, আক্তার হোসেন, আহসান উল্লাহ, মোঃ জসিম, সোলতান, আজিজুল হক, আবুল হোসেন, মোঃ আলম, নূরুল কবির, মোঃ ফিরোজ, মোঃ একরাম, মোঃ রশিদ, আবুল কালাম, রহমত উল্লাহ, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ লোকমান নামের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।