কক্সবাজারে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১২টি দেশীয় অস্ত্র, ৮৫ রাউন্ড গুলি ও ১০৬টি গুলির খোসাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। রোববার ভোররাত ৩ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী গ্রামে ওই অভিযান চলে। গেস্খফতারকৃতরা হলেন, কেরুনতলী গ্রামের মৃত আব্দুল মাবুদের ছেলে মো: সেলিম (৩৫) ও একই ইউনিয়নের কালিয়াকাটা গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে মো: এরশাদুল্লাহ (২৬)। সেলিমের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ ১২টি মামলা এবং এরশাদুল্লাহর বিরুদ্ধে ৬টি মামলায় গেস্খফতারী পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বিকেল ৪ টার দিকে র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো: রুহুল আমিন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, র্যাব বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে মহেশখালী থানার কেরুনতলী এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী চক্র দেশীয় অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় এবং অস্ত্র মজুদ করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে । এর প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল ব্যাপক কর্মতৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে র্যাব জানতে পারে, কেরুনতলীর পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায় এনাম বাহিনীর সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও ডাকাতদের কাছে অস্ত্র বিক্রিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ভোররাত ৩ টার দিকে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী মো: সেলিম ও মো: এরশাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জনৈক স্বপন এর খামারবাড়ী তল্লাসী করে মোট ১২টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২ টি বিদেশী ওয়ান শ্যুটারগান, ১ টি .২২ বোর রাইফেল, ১ টি ডিবিবিএল, ৭ টি এসবিবিএল এবং ১ টি ওয়ান শুটারগান। এছাড়াও ৮৫ রাউন্ড গুলি (৩৫ রাউন্ড এক্স শর্টগানের তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড এক্স.৩০৩ রাইফেলের গুলি, ৪৬ রাউন্ড এক্স.২২ বোর রাইফেলের গুলি) এবং ১০৬ টি খালি খোসা (১০৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলির খালি খোসা এবং ০৩ রাউন্ড .৩০৩ রাইফেলের গুলির খালি খোসা) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ওই অবৈধ অস্ত্র মজুদ রেখে ক্রয়-বিক্রয় এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার কথা স্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের এবং তাদের মহেশখালী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।