২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মহেশখালীতে লবণ উৎপাদনের ধুম পড়েছে মাঠ পর্যায়ে লবণের ন্যায মূল্য দাবি চাষিদের

উপকূলীয় এলাকার সমগ্র উপজেলার ন্যায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণ উৎপাদনে প্রায় ১৩ হাজার চাষী মাঠে এখন লবণ উৎপাদনের সময় অতিবাহিত করছেন। তারা লবণ উৎপাদন করে সাংসারিক জীবন পরিচালিত করে থাকে এবং দেশ বিদেশে লবণ রপ্তানি করে। দেশের অন্যান্য এলাকার সমুুদ্রের লোনা পানির চেয়ে এ অঞ্চলের লোনা পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশী তাই জেলায় প্রাকৃতিক উপায়ে লবণ উৎপাদন সহজ এবং দেশের লবণ উৎপাদনের প্রধান জেলাও বটে কক্সবাজার।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মহেশখালীতে স্থল পথে প্রবেশদ্ধার কালারমারছড়া নতুন চালিয়াতলী ও চাফকাটা ঘোনার লবণ মাঠে চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে পেলে উৎপাদন করছেন সাদাসোনা খ্যাত লবণ। মাঠ পর্যায়ে লবণের ন্যায মূল্য দাবি চাষীদের। অপরদিকে উপজেলার ধলঘাট, হোয়ানক, কুতুবজোম,শাপলাপুর, মাতারবাড়ী ইউনিয়নে আংশিক লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে দেখা গেছে চাষিদের।
জানা গেছে, জেলার সিংহভাগ লবণ উৎপাদিত হয় মহেশখালীতে। গত বৎসর প্রায় ৬ লক্ষ টন উদ্বত্ত লবণ উৎপাদিত হয়। এবারে মৌসুম ভাল থাকায় চাষিরা অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আরো বেশি লবণ উৎপাদনের আশা প্রকাশ করছে। একাধিক লবণ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য বছরের চাইতে এ বছরে লবণের বাম্পার ফলন হবে কেননা অন্যান্য বছরের চাইতে চলতি মৌসুম ভাল যাচ্ছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের লবণ চাষি কাইসারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত সেশনের চাইতে চলতি বছরে লবণের মূল্য ভালই দাম পাওয়া যাবে বলে শুণে আমরা চাষীরা খুশি এবং লাভবান হব। কিন্তু তার চাইতে লবণের মূল্য কম হলে চাষি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উপজেলার কালারমারছড়া উত্তরনলবিলা-চালিয়াতলীর এলাকার লবণ ব্যবসায়ী আলম মেম্বার বলেন, চলতি মাস থেকে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। লবণের উচ্চ মূল্য যাতে চাষিরা পায় এ ব্যাপারে সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। প্রাকৃতি আবহাওয়া অনুকল থাকলে লবণ উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে কালারমারছড়ার লবণ চাষি আবুল কালাম বলেন, স্থানিয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের প্রচেষ্টায় গত বছর বিদেশ থেকে লবণ আমদানী বন্ধ করেছিল সরকার। তাই আমরা লবণ বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হয়েছিলাম। গতবারের ন্যায় আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি’র সু-নজর থাকলে এবছর লবণের ন্যায্য মূল্য পাবে মাঠ পর্যায়ের চাষিরা।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুল জানান, চলতি মৌসুম ভাল থাকায় এবং সরকার যদি বিদেশ থেকে লবণ আমদানি না করে থাকে চাষিরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।