নিজস্ব প্রতিনিধি, মহেশখালী : পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রোকন ও তার দুই সহোদরের উপর নিষ্ঠুর হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। একইভাবে উদ্ধার হয়নি লুণ্ঠিত মালামালও। উল্টো সাংবাদিক পরিবারকে অব্যাহত হুমকী দিচ্ছে হামলাকারী কথিত ওই ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ও তার বাহিনী। এই নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে হামলাকারী মাসুদ। এই জন্য নানা অপপ্রচারও ছাড়ানো হচ্ছে।
অভিযোগ মতে, গত ২৫ জানুয়ারি মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালীর নতুনবাজারে অবস্থিত সাংবাদিক রোকনের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা চলায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নুরুদ্দিন মাসুদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এসময় সন্তাসীরা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর করে। এই জঘন্য ঘটনার দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনো মালামাল উদ্ধার হয়নি, গ্রেফতার হয়নি হামলাকারীদের কেউই। হামলায় আহত সাংবাদিক রোকন ও তার দু’সহোদর কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। সাংবাদিক রোকন অভিযোগ করেন, একটি দখলবাজ গ্রুপকে দোকান দখল করে দিতে ভাড়াটে হিসবে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ এই হামলা চালায়। ঘটনা দুই দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও লুণ্ঠিত মোবাইল, দোকানের মালামাল উদ্ধার হয়নি। উল্টো হামলাকারী মাসুদসহ অন্যরা রোকনের পরিবারকে মামলা না করার জন্য নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন পরিবারটি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভাতিজা ও ছাত্রলীগের নাম ভেঙে নানা অপকর্ম করে চলছে নুরুদ্দিন মাসুদ। তার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটটি মহেশখালী পৌরসভা ও বড় মহেশখালীর পুরো ইয়াবা রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ইয়াবার খুচরা থেকে পাইকারী বিকিকিনি করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে অনেক যুবক ও ছাত্র ইয়াবা সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের প্রভাবে সবাই অসহায় বোধ করছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইসতিয়াক আহমদ জয় জানান, মাসুদ ছাত্রলীগের কেউই নয়। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কেউ করলে এই অপকর্মের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তাফা এই ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনাকে পশ্রয় দেওয়ার কেনো সুযোগ নেই। তিনি বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য মহেশখালী থানার ওসিকে পরার্মশ দিয়েছেন বলে জানান।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।