২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের ৭ আস্তানা ধ্বংস

কক্সবাজার সময় ডেস্কঃ দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। দুই দিনের অভিযানে কেউ গ্রেফতার না হলেও সন্ত্রাসীদের অন্তত ৭টি আস্তানা ধ্বংস করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ অভিযান শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার কালারমারছড়ার আঁধারঘোনা, নোনাছড়ি ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার তিনটি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। নোনাছড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানিয়েছেন, এই তিন গ্রামের পশ্চিমাংশের অধিকাংশ লবণের জমি এখন দখলবাজদের নিয়ন্ত্রণে। পাহাড়ি আস্তানা থেকেই সন্ত্রাসীরা দখলবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে। এর আগে আঁধারঘোনা, নোনাছড়ি ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনার বিভিন্ন আস্তানায় ব্যাপক অভিযান চালায় পুলিশ। এতে তিনটি আস্তানা উচ্ছেদ করে পুলিশ।

কালারমারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শাওন দাশ জানিয়েছেন, অভিযান চলবে। কোনো সন্ত্রাসীই ছাড় পাবে না। সন্ত্রাসীদের বিষয়ে কেউ তদবির করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের কয়েকটি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সব আস্তানাই চিহ্নিত করা হয়েছে।

হোয়ানকের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল জানান, অন্তত ৫৫ জন পুলিশ সদস্য কালাগাজীরপাড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালান। বর্তমানে মহেশখালী থানার এসআই জহিরের নেতৃত্বে কালাগাজীরপাড়া বাজারে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প কাজ করলেও সম্প্রতি দুটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এ এলাকায়। এখানে দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় থাকায় হামলা ও পাল্টা হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। ওই এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তা এসআই পরেশ কারবারিকেও হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই মামলার আসামিরা পুলিশের ভয়ে পাহাড়ে আস্তানা গাড়ে।

ওই আস্তানা থেকে বের হয়ে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে সপ্তাহখানেক আগে। এর আগে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয় আরেক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অবস্থান করে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী। পুলিশ পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে চারটি আস্তানা ধ্বংস করে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।