মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনে অনিয়মের মাধ্যমে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাদের বিরুদ্ধে। জেলা কমিটির সিনিয়র নেতার আস্থাভাজন লোকজন কমিটিতে পদ পাইয়ে দেয়ার অজুহাতে নগদ দেড়লাখ টাকা ও একটি ব্যাংক চেক জামানত হিসেবে নিলেও বেশি টাকা পাওয়ার কারনে অন্যজনকে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত হোসেন। চকরিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য অনুমোদন দেয়া কমিটির ব্যাপারে এসব অভিযোগ করেন নিয়ামত হোসেনসহ উপস্থিত ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী।
ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত হোসেন দাবি করেন, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা প্রতিষ্ঠার আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের প্রথম, দ্বিতীয় ও ততৃীয় বর্ষে পর্যায়ক্রমে তিনবছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে চকরিয়া থেকে মাতামুহুরী উপজেলা বিভক্ত হলে সেই থেকে তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একজন একনিষ্ট কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন।
নিয়ামত হোসেন দাবি করেন, প্রায় সাড়ে তিনবছর পর গত ১৯ মার্চ মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। এ সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। সম্মেলনের দিন কমিটি ঘোষনা করা না হলেও পরবর্তীতে গত ২৫ মার্চ রাতে মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করেন জেলা ছাত্রলীগ। এতে সভাপতি করা হয় হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় বেলাল উদ্দিনকে।
নিয়ামত হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাকে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করার প্রলোভন দেখিয়ে জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসেন তানিম আস্থাভাজন লোকজন (একান্ত সহকারী) নগদ দেড়লাখ টাকা ও ডাচবাংলা ব্যাংক চকরিয়া শাখার একটি খালী চেক (যার নং ৫১২৭৯৩৩) জামানত হিসেবে নেন। কিন্তু তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়ার কারনে অনুমোদিত কমিটিতে অন্যজনকে উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা নিয়ামত হোসেন। একই সাথে পদের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে বই বিক্রি ও সম্মেলনের ব্যানার ছাপানোর অজুহাতে আরো ২০ হাজার টাকা নেন বলে দাবি করেন তিনি।
সভাপতি প্রার্থী তানভীন ইসলাম সাইমুন অভিযোগ করেছেন, তার পরিবারটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী ও আওয়ামী পরিবার। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া মাতামুহুরী উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু যাদেরকে অনুমোদিত কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক করা হয়েছে তাদের পরিবার বিএনপি ও জামাত ঘরনার বলে অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা সাইমুন। তদন্ত করলে সত্যতা বের হবে বলেও তিনি দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আতিকুর রহমান, সাহারবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুমুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কলিম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক বাহার সিকদার, বদরখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন ছোটন, বদরখালী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক মো.সাইফুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মাতামুহুরী উপজেলা ছাত্রলীগের অনুমোদিত কমিটিতে তানভীন ইসলাম সাইমুনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নিয়ামত হোসেন এবং আতিকুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁরা তিনজন দাবি করেন, অনুমোদিত কমিটির ঘোষিত পদ তাঁরা প্রত্যাখান করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।