এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে পরিবেশ আইন লঙ্গন করে মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকালে উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ২টি সেলোমেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেছে। অভিযান টের পেয়ে বালু উত্তোলনে জড়িতরা পালিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইখতিয়ার উদ্দিন মো.আরাফাত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভাধীন বিভিন্ন এলাকায় ও উপজেলার ফাঁসিয়াখালী, সাহারবিল,পূর্ব বড় ভেওলা ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নদীর পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন প্রভাবশালী চক্র। এসব বালু উত্তোলন মেশিন বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক ভাবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়ার পরও বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখেন উত্তোলনকারী ব্যাক্তি। বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত যৌথ অভিযান চালিয়ে পূর্ব বড় ভেওলা এলাকায় বালু পয়েন্ট থেকে ২টি মেশিন ও বেশকিছু পাইপ জব্ধ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন,দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তি মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল।এ অবস্থার কারনে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এনিয়ে প্রশাসনের পক্ষথেকে কিছু দিন পূর্বেই মাইকিং মাধ্যমে জানানো হয়েছিল।এ রপরও মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হাওয়ায় বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে বুধবার দুপুরে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন,অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ২টি মেশিন ও বেশকিছু পাইপ জব্ধ করা হয়েছে। তবে অভিযানের সময় বালু উত্তোলনে জড়িতরা পালিয়ে যায়। জব্দকৃত ওইসব মালামাল উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।