২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

মানবপচার রোধে কোস্টগার্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন

একনেক

 সমুদ্রসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানবপাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে কোস্টগার্ড বহরের ক্ষমতা বাড়াতে ‘এনহ্যান্সমেন্ট অব অপারেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’ নামে ৪৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পসহ ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মোট ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের একনেক বৈঠকে মোট ১ হাজার ৫৯১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫৮ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫ কোটি ৫০লাখ টাকা।’

কোস্টগার্ড প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘ কোস্টগার্ডের অপারেশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। পত্রপত্রিকায় আপনারা দেখছেন মানবপাচার সম্পর্কে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে প্রকল্পটি।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমুদ্র সীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানবপাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ হবে। এ প্রকল্পের অধীনে জলযান ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের তালিকায় আছে ইনশোর প্যাট্রেল ভেসেল ৩টি, হাইস্পিট বোট বড় ৬টি, ভাসমান ক্রেন ১টি, অফিস সরঞ্জামাদি ১৩টি এবং ফার্নিচার ৩৩টি।’

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে ‘রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালামাইরী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি ৫০লাখ।

১৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বাবুবর হাট-মতলব পেন্নাই সড়ক উন্নয়নের সংশোধনী প্রকল্প বাস্তবায়নে।

‘গাজীপুর-আজমতপুর–ইটাখোলা সড়কে চরসিন্দুরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পে’ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০কোটি টাকা। ‘দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে পানি সম্পদ উন্নয়নে’ ব্যয় ধরা হযেছে ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

‘কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাইহাট ব্রিজের কাছে ভুরুঙ্গামারী মাদারগঞ্জ সড়কপথকে দুধকুমার নদীর ভাঙন হতে রক্ষা এবং উলিপুর ঘোনাগাছ
.হতে বজরা মাদ্রাসা পযন্ত তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৫৫ কোটি টাকা।

এছাড়া ‘যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ’ এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি টাকা এবং ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজলোর ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী পুনর্বাসন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

বিফ্রিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান,পরিকল্পনা সচিব শফিকুল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম, আরস্ত খান প্রমুখ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।