মানবপাচারকারীর `ডন’ আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ র্যাবের হাতে আটক
২০১৫, জুলাই ০৪ ০৫:১০ অপরাহ্ণ
কক্সবাজার শহরের লালদিঘী এলাকার হোটেল নিদমহলের সামনে থেকে মানবপাচারকারী ডন খ্যাত আবদুল্লাহ বিদ্যুৎকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ রাম উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকার মো. ফেরদৌসের ছেলে।
কক্সবাজারের র্যাব-৭ এর কমান্ডার মেজর মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল্লাহ বিদ্যুতের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মানবপাচার মামলা রয়েছে।
আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ’র উত্থান কাহিনী:
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দিনমজুর ফেরদৌসের বড় ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৪২)। এক সময় ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন বলে এলাকার লোকজন তাকে আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ বলে ডাকেন।
আট বছর আগের আব্দুল্লাহ বর্তমানে মানবপাচারকারী চক্রের ডন। এ কাজ করে তিনি গড়ে তুলেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি।
নিরক্ষর আব্দুল্লাহ ২০০৮ সাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার সোনাপাড়ার সৌদিয়া হ্যাচারিতে ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন। বেতন ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। ওই বছরেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাম লেখান রাজনীতিতে। এরপর থেকেই তার দৃশ্যমান কোন পেশা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে অল্প সময়েই হয়ে উঠেন খুনিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এরপর থেকেই বেপোরোয়া হতে শুরু করেন আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ। এক সময় গোপনে পাচারকারীদের সহযোগিতা করলেও সভাপতি হওয়ার পর হয়ে উঠেন বেপোরোয়া। একে একে নিয়ন্ত্রণে নেন ১২জন পাচারকারীকে। আইনের হাত থেকে পাচারকারীদের বাঁচাতে শুরু করেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।
দরিদ্র পরিবারের ছেলে আব্দুল্লাহ আলিশানভাবে জীবনযাপন শুরু করেন। কমুবনিয়ার সরকারি বনভূমির ১০ একর জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য ইট, বালি মজুদ করেছেন। ইজারা নিয়েছেন হিমছড়ি পার্ক। হিমছড়ি এলাকাতেই কিনেছেন কোটি টাকা মূল্যের জায়গা। নিজ ইউনিয়নের লোকজনের কাছ থেকে বন্ধক নিয়েছেন অর্ধকোটি টাকার জায়গা জমি। নিজের জন্য একটি ও ছোট দুইভাই আব্দুস সালাম ও আব্দুল কাদেরের জন্য কিনেছেন দু’টি এফ জেট মোটরসাইকেল। পাচারকারীদের কাছ থেকে নেওয়া কমিশন ও নিজের গ্রুপের পাচারের টাকায় এ সম্পত্তি কেনা।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর থেকে পেঁচার দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। সড়কের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর ও পূর্বে উঁচু উঁচু পাহাড়ের আড়ালেই থাকেন এক ডজন মানবপাচারকারী চক্র। এর আটটি পয়েন্ট দিয়ে এক ডজন গ্রুপের হয়ে কাজ করেন আরো শতাধিক পাচারকারী। আর এই ১২টি গ্রুপের শতাধিক পাচারকারী চক্রের ক্ষমতাধর গডফাদারের নাম আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ। এ অভিযোগ খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এদিকে, বারবার উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামী কিংবা আটক দালালদের কাছ থেকে গডফাদার হিসেবে তার নাম আসলেও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি থেকে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে ১২ মে সেন্টমার্টিনে ১১৬ জন মালয়েশিয়াগাম যাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার রশিদ আহমদ জানান, ১৩ মে তিনি বাদী হয়ে টেকনাফ মানবপাচার আইনে ৪০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার ৩৪ নম্বর আসামি আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ।
এছাড়া আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ রামু থানায় দালালিসহ অনেক অপকর্মের সহযোগি। এলাকায় লোকজন গ্রেফতার করতে আসলে পুলিশ তাকে না জানিয়ে আসতনা।
মানবপাচার মামলা নিয়ে নিয়মিত রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ ভয়ে তাকে আটক করেনি। গত কয়েকদিন আগে রামু দূর্গতদের মাঝে সে ত্রাণ বিতরণ করেন।
কক্সবাজার শহরের লালদিঘী এলাকার হোটেল নিদমহলের সামনে থেকে মানবপাচারকারী ডন খ্যাত আবদুল্লাহ বিদ্যুৎকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ রাম উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকার মো. ফেরদৌসের ছেলে।
কক্সবাজারের র্যাব-৭ এর কমান্ডার মেজর মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল্লাহ বিদ্যুতের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মানবপাচার মামলা রয়েছে।
আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ’র উত্থান কাহিনী:
রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দিনমজুর ফেরদৌসের বড় ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৪২)। এক সময় ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন বলে এলাকার লোকজন তাকে আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ বলে ডাকেন।
আট বছর আগের আব্দুল্লাহ বর্তমানে মানবপাচারকারী চক্রের ডন। এ কাজ করে তিনি গড়ে তুলেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি।
নিরক্ষর আব্দুল্লাহ ২০০৮ সাল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার সোনাপাড়ার সৌদিয়া হ্যাচারিতে ইলেক্ট্রিকের কাজ করতেন। বেতন ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। ওই বছরেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাম লেখান রাজনীতিতে। এরপর থেকেই তার দৃশ্যমান কোন পেশা নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে অল্প সময়েই হয়ে উঠেন খুনিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। এরপর থেকেই বেপোরোয়া হতে শুরু করেন আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ। এক সময় গোপনে পাচারকারীদের সহযোগিতা করলেও সভাপতি হওয়ার পর হয়ে উঠেন বেপোরোয়া। একে একে নিয়ন্ত্রণে নেন ১২জন পাচারকারীকে। আইনের হাত থেকে পাচারকারীদের বাঁচাতে শুরু করেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।
দরিদ্র পরিবারের ছেলে আব্দুল্লাহ আলিশানভাবে জীবনযাপন শুরু করেন। কমুবনিয়ার সরকারি বনভূমির ১০ একর জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য ইট, বালি মজুদ করেছেন। ইজারা নিয়েছেন হিমছড়ি পার্ক। হিমছড়ি এলাকাতেই কিনেছেন কোটি টাকা মূল্যের জায়গা। নিজ ইউনিয়নের লোকজনের কাছ থেকে বন্ধক নিয়েছেন অর্ধকোটি টাকার জায়গা জমি। নিজের জন্য একটি ও ছোট দুইভাই আব্দুস সালাম ও আব্দুল কাদেরের জন্য কিনেছেন দু’টি এফ জেট মোটরসাইকেল। পাচারকারীদের কাছ থেকে নেওয়া কমিশন ও নিজের গ্রুপের পাচারের টাকায় এ সম্পত্তি কেনা।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর থেকে পেঁচার দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। সড়কের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর ও পূর্বে উঁচু উঁচু পাহাড়ের আড়ালেই থাকেন এক ডজন মানবপাচারকারী চক্র। এর আটটি পয়েন্ট দিয়ে এক ডজন গ্রুপের হয়ে কাজ করেন আরো শতাধিক পাচারকারী। আর এই ১২টি গ্রুপের শতাধিক পাচারকারী চক্রের ক্ষমতাধর গডফাদারের নাম আব্দুল্লাহ বিদ্যুৎ। এ অভিযোগ খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এদিকে, বারবার উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামী কিংবা আটক দালালদের কাছ থেকে গডফাদার হিসেবে তার নাম আসলেও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি থেকে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে ১২ মে সেন্টমার্টিনে ১১৬ জন মালয়েশিয়াগাম যাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় তাকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার রশিদ আহমদ জানান, ১৩ মে তিনি বাদী হয়ে টেকনাফ মানবপাচার আইনে ৪০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার ৩৪ নম্বর আসামি আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ।
এছাড়া আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ রামু থানায় দালালিসহ অনেক অপকর্মের সহযোগি। এলাকায় লোকজন গ্রেফতার করতে আসলে পুলিশ তাকে না জানিয়ে আসতনা।
মানবপাচার মামলা নিয়ে নিয়মিত রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ ভয়ে তাকে আটক করেনি। গত কয়েকদিন আগে রামু দূর্গতদের মাঝে সে ত্রাণ বিতরণ করেন।
শুক্রবার রাতেও দুইজন আসামি ছাড়িয়ে আসতে আবদুল্লাহ রামু থানার দারোগা এনামের কাছে গিয়েছিল।