বিশেষ প্রতিবেদকঃ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার। কোরবানি ঈদের বাজার সারতে এদিনসহ হাতে সময় ছিল মাত্র নয়দিন। তাই পুরোদমে চলছিল কক্সবাজারের ৪৪ গরুর বাজার জমানোর প্রস্তুতি। আমদানিকারকরা এদিন সকালেও সীমান্ত শহর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে বিপুল পরিমাণ গরু-মহিষ এনেছেন। শুক্রবার থেকে পর্যায়ক্রমে বা প্রয়োজনানুসারে ঈদেরদিন পর্যন্ত টানা বাজার বসানোর সিদ্ধান্তে সেভাবে নিরাপত্তাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। ঘটনাটি বাংলাদেশের না হলেও সীমান্তের ওপারের শহরগুলোতে হওয়ায় তার রেশ এসে পড়ে এদেশের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে। ফলে পশুর হাটের সেই জমজমাট বাণিজ্য কিংবা কোরবানি পশুর উপস্থিতি-অনুপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কিংবা অন্য কেউ ভাবতে সময় পায়নি। যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও সেদেশের সেনাবাহিনী-মগদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন ২৪ আগস্ট। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অংসান সু চির কাছে ৬৩ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনটি জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে রাখাইন রাজ্যের ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক। শুক্রবার সকালে এ হামলার জন্য বাংলাভাষি রোহিঙ্গাদের ‘জঙ্গি’ বলে দায়ী করে তাদের দমানোর অভিযান হিসেবে সেনা-পুলিশ-মগযুবকরা মিলে পুরো অঞ্চলে চিরুনী অভিযানে বর্বর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। পাড়ার এক প্রান্ত থেকে অভিযান শুরু করে তরুণদের গুলি ও কুপিয়ে হত্যা এবং তরুণী এবং কিশোরীদের ধরে নিয়ে গণধর্ষণ ও হত্যার পর বাড়িতে আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে দেয়ার যজ্ঞ চলে। মায়ের বুক থেকে শিশুদের কেড়ে নিয়ে জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করে আধুনিক বিশ্বে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগকেও হার মানায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের দূসররা।
এ হত্যাযজ্ঞ দেখে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন রাজ্যের লাখ লাখ অধিবাসী পূর্বের মতো সীমান্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে সীমান্তের জিরু পয়েন্টে চলে আসে। ওদিকে চলমান হত্যাযজ্ঞে পলায়নপর নারী-শিশু এবং পুরুষদের পেছন থেকে পাখিরমতো গুলি করে হত্যা করে পাষন্ডরা।
এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোরতা প্রদর্শন করে বিজিবি। এতে জিরু পয়েন্টে সকাল-সন্ধ্যা কেবল উপস্থিতি বাড়তেই থাকে। এসব নিয়ে স্থানীয়-জাতীয় ও বিশ্ব গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করলে মানবিকতার কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে পরামর্শ দেয়। এরপর কোরবানি ঈদের আগেরদিন রাতে বৃষ্টির স্রোত ধারার সাথে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকে পড়ে লাখো রোহিঙ্গা। এর ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ-উখিয়া মিলে প্রায় ৫ লাখাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়।
একসাথে এত সংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে নিরাপত্তা ও আবাসন সুবিধা এবং জীবন ধারণ পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করণে সরকারের নির্দেশনায় মাঠে নামে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। পূর্বের রোহিঙ্গা বস্তি উখিয়ার কুতুপালং, বালূখালী ও টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়াসহ আশপাশে নতুন আসাদের অবস্থান গড়ে দিতে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনে খোলা হয় রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কন্ট্রোল রুম। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খালেদ মাহমুদকে প্রধান করে মাঠে রাখা হয় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় ও জুয়েল আহমেদকে। এ দু’ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তায় ৩০ জন বিজিবি সদস্য ও ১৬ জন আর্মড পুলিশ সংযুক্তি দেয়া হয়।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার খবর সেদেশে পাওয়ার পর রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা আসার ঢল নামে। ১৯৭৮ সাল থেকে খন্ড খন্ড ভাবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যেসব রোহিঙ্গা আসে এবারের আগমন সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাদের (রোহিঙ্গাদের) উপর চলা পৈচাশিকতার চিত্র তুলে ধরতে সীমান্তে অবস্থান নেয় দেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা। আসেন বিশ্ব মিডিয়ার কর্মীগণও। তাদের লেখনি ও ভিডিও চিত্রে ফুটে উঠে মিয়ানমারের অমানবিক হত্যাযজ্ঞের চিত্র। এটি দেখার পর তুরস্ক সরকারের প্রধান এরদোগান মিয়ানমারের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রথম কথা বলেন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানান। এরপর মুখ খুলে বিশ্ব মানবতা। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসতে শুরু করেন দেশী-বিদেশী ভিআইপিরা। তাদের পাশাপাশি আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যক্তি কিংবা সংস্থার উদ্যোগে সাহায্যকারিরা। ভিআইপিদের প্রটোকল ও রোহিঙ্গাদের অবস্থান এবং জীবন ধারণে সহায়তাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিবা-রাত্রি দায়িত্বপালন করেন কন্ট্রোল টীমের সদস্যরা। ফলে মানবিক সহায়তা দিতে গিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ‘অমানবিক খাটুনী’ খেটেছেন ক্যাম্প এলাকায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার লোকজন।
জেলা প্রশাসনের রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণ টীমের প্রধান এডিএম খালেদ মাহমুদ জানান, মিয়ানমারে চলমান নিপীড়ন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫লাখ রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষ উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে। বলতে গেলে শৃংখলা সম্পর্কে অজ্ঞ এত লোকের একসাথে আবাসন নিশ্চিত ও খাবার, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এরপরও নিয়মতান্ত্রিকতায় এনে সবার অবস্থান সুখকর করতে মাঠে কাজ করা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় ও জুয়েল আহমদ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এবং অন্যদের সহযোগিতায় উখিয়া ও টেকনাফে ১২টি সহায়তা ক্যাম্প স্থাপন করেছে। যেখান থেকে এখন নিয়মিত খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সরকারি দায়িত্বে খাতিরের বাইরে গিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা নিরলস দায়িত্ব পালন করেছে তারা। এরপরও রোহিঙ্গাদের পূর্ণ শৃংখলায় আনতে গত শনিবার থেকে ক্যাম্প এলাকায় জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রধান গেইট থেকে শুরু করে সেনা সদস্যরা ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ করছে। ত্রাণ নিয়ে আসা গাড়ির বহর এখানে থামিয়ে দিয়ে তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে ব্যক্তি ও সংগঠনের মাধ্যমে আসা রোহিঙ্গা সহায়তা। এরপর সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্ধারিত ত্রাণ ক্যাম্পে। পূর্বে সরবরাহ করা টুকেনের মাধ্যমে শৃংখলভাবে ত্রাণ হস্তগত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের হাতে। রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। সড়কে গাড়ি থামিয়ে কোন ধরনের ত্রাণ বিতরণ না করার নির্দেশনা দিয়ে টানানো হয়েছে ব্যানার। সবকিছু মনিটরিং করছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে গঠিত টিম।
ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণ এখন শৃংখল। তবে এটির ধারাবাকিতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আমরা দেখেছি ক্যাম্প এলাকায় দায়িত্বপালন করা জেলা প্রশাসনের দু’নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সকালে এসে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করেছেন। যাতায়ত সুবিধা নিশ্চিত করণে কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনায় কুতুপালং ১ নম্বর শিবিরের আভ্যন্তরীণ সড়ক তৈরীতে নির্মাণে শ্রমিকদের সাথে ম্যাজিট্রেটদ্বয়ও গভীর রাতে সরঞ্জামাধি বহনে নিজেরা সহযোগীতা করেছেন। দেড়-দু’কিলোমিটার ভেতরের পাহাড়ে অবস্থানকারি রোহিঙ্গা শিবিরে শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ত্রাণসহ খাবার বিতরণ করছেন তাঁরা।
তারা আরো জানান, জেলা প্রশাসনে কর্মকর্তাগণই প্রথমে সব উৎস থেকে ত্রাণ সামগ্রী একত্রিকরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেট করে বিভিন্ন বিতরণ স্থানে পরিবহণ করে এবং তালিকা ধরে দুর্গত রোহিঙ্গাদের মাঝে হস্তগত করে । এসময় রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগে অর্ধশতাধিকজনকে সনাক্ত করে ব্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজার আওতায় আনেন তারা। খবর পেয়েছি রাত-বিরাতে ক্যাম্পের কোন কোন স্থানে অপরাধ কর্মের অভিযোগ পাবার সাথে সাথে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে দৌঁড়ে গেছেন জেলা প্রশাসনের এ দু’কর্মকর্তাসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলরা। এতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, কর্মস্থল কক্সবাজার হওয়ায় রোহিঙ্গাদের দুরাবস্থা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে বিপন্œ মানবতার কথা চিন্তা করে দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছি আমরা। আমাদের শুরু করা শৃংখল প্রচেষ্টা সেনাবাহিনী আসার পর আরো সুদৃঢ হয়েছে। এখন কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য লাগছে। এখনো জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় এডিএমর নেতৃত্বে আমাদের টিম সব বিষয় মনিটরিং করছে।
অপরদিকে, তুরস্কের ফার্স্ট লেডিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রীপরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, কর্মকর্তা, বিদেশী সংস্থা, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের ভিভিআইপিরা প্রায় প্রতিদিনই কুতুপালং, বালূখালী এবং টেকনাফ পরিদর্শনে আসছেন। এতে করে সপ্তাহে বন্ধের কোন দিন গণনায় আনতে পারছেন না জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এবং সদস্যরা। দিনে একাধিক মন্ত্রী থাকায় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং অন্য কর্মকর্তাগণ সিডিউল করে প্রটৌকল মেনটেইন করছেন। পাশাপাশি নানা বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংও করছে জেলা প্রশাসন। এতে সবদিক সুনিপুণ ভাবে সামাল দেয়ায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ জেলা প্রশাসনে এবং আইনপ্রয়োগকারি সংস্থায় কর্মরতদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমিন্ত্রী ওবাইদুল কাদের। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওবায়দুল কাদের নানা নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি এ সন্তোষ্টি প্রকাশ করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংক্রান্ত সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ রাশেদ আকতার এস.পি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আবদুর রহমান বদি এমপি, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুলসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, আগে থেকেই আমরা রোহিঙ্গা ভারে নিমজ্জিত রয়েছি। এরমাঝে আবার নতুন করে ৫লাখাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া দু:সাহসিক ব্যাপার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার উপর ভর করে অসীম সাহসি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত গুলোর সফল বাস্তবায়নই আমাদের কর্ম। তবে, এবারের রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে এখানে কর্মরত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারির জন্য নির্ধারিত অফিস টাইম নেই। যখন, যেখানে যেভাবে দায়িত্বপালন করা দরকার পড়ছে তখন সে এলাকার দায়িত্বরতরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দায়িত্বপালন করে কাজ শেষ করছে। সরকারের স্বদিচ্ছার পাশাপাশি বিপন্ন মানবতার প্রতি কর্মরত সবার আন্তরিকতা থাকায় আমরা এখনো পর্যন্ত সকল সিদ্ধান্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারছি। এখন আমাদের সাথে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হয়েছে। তাই ভবিষতেও সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সফল হবে বলে আশা করছি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।