কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, কক্সবাজার থেকে মানব ও ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে হবে। এখানকার সুনাম সবাইকে ধরে রাখতে হবে। মানব পাচার এখন সামাজিক ব্যাধি। এই জঘন্য কাজে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। পাচারকারীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। বুধবার বিকেলে উখিয়ার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া বাজার এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে অপরাধ দমন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেছেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান। বক্তব্য রাখেন, সহকারী পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল জসিম উদ্দিন মজুমদার, উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম, উখিয়া কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শফিউল আলম বাবুল, হেল্ফ এনজিও সংস্থ্যার নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম এমএ, জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শহিদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মদ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত আলী বাবুল, মাষ্টার মুক্তার আহাম্মদ, ইউপি সদস্য জাহেদুল আলম, আবুল হোসেন। জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, জালিয়াপালং ইউনিয়নের চিহ্নিত ৫০ জন মানব পাচারকারীকে ধরলে ১৫ হাজার লোক বাঁচবে। বিগত পুলিশ কর্মকর্তার নিকট নালিশ করেও কোন কাজে আসেনি। বরং উল্টে আমার বিরুদ্ধে ২টি সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলছি মানব পাচারকারীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। অন্যান্য নেতাদের সাথে সম্পর্ক থাকতে পারে। রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্রিত হলে উপকূলীয় জালিয়াপালং থেকে মানব ও ইয়াবার মত জঘন্য কাজ নির্মুল হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।