মোহাম্মদ সোহেল সিকদার রানাঃ
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ের পেঁচার দ্বীপ এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিশ পার্শ্বে মারমেইড বীচ রিসোর্টে ইসিএ এলাকায় বালিয়াড়ি দখল করে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন রামু।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিবেলে ৩ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত রামু উপজেলার পেচার দ্বীপ এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পাশ্বে মারমেইড বীচ রিসোর্ট নামক ইসিএ এলাকায় বালিয়াড়ি দখল করে অবৈধস্থাপনা নির্মানের দায়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। বালিয়াড়ি দখল করে মারমেইড বীচ রিসোর্ট তাদের নিজস্ব জায়গার মত করে গড়ে তোলে নির্মান করেছে ফুল মুন নাইট, নাইট ক্যান্ডেল ডিনার,দোলনা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। উক্ত উচ্ছেদ অভিযানে ইসিএ এলাকায় স্থাপিত হওয়া অবৈধস্থাপনাগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় পাঁচ শতাধিক ঝাউগাছ কাটার অভিযোগ ও উঠেছে মারমেইড বীচ রিসোর্টের নামে।
স্থানীয়রা জানান, এই যে প্রায় পাঁচ শতাধিক ঝাউগাছ কেটেছে এর দায়ী কিন্তু মারমেইড এড়াতে পারে না যেহেতু এটি তাদের অবৈধ স্থাপনার পাশে। এই রকম যদি গাছ কেটে সাবাড় করা হয় তাহলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে বলে আমি মনে করি।
মারমেইড বীচ রিসোর্টের এক কর্মচারী জানান, আমরা সরকারি জায়গা দখল করেছি এবং ঝাউগাছ কেটেছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কথা। এই ঝাউগাছ গুলো গত কিছু দিন আগে ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে গেছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ হিমছড়ি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান শোভন জানান, এখানে কিছু ঝাউগাছ কাটা গেছে এই ঝাউগাছ গুলো যে মারমেইড কেটেছে তার উপযুক্ত প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। থাকলে অবশ্যয় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। আমরা সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে এই ঝাউগাছ গুলো যারা কাটছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
#উচ্ছেদ অভিযানের ছবি তোলায় সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন মারমেইড বীচ রিসোর্টের কর্মচারী’রা
উক্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন
রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ এবং এবিএন এর টিম নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি
সরেজমিনে দেখা যায় মারমেইড বীচ রিসোর্টে ইসিএ এলাকায় অবৈধ ভাবে বালিয়াড়ি দখল করে অস্থায়ী বীচ নির্মান করেছে এটার সত্যতা পেয়েছি এবং এ অস্থায়ী বীচ অপসারণ করেছি । বালিয়াড়ি দখল করে যে সকল অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছে সেগুলো আমরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছি এবং প্রবাহ মান খালের উপর গড়ে তোলা প্রায় ১০০ ফুটের লম্বা কাটের সেতু টি ও ভেঙ্গে দিয়েছি।তিন থেকে চার একর সরকারি খাস জায়গা উচ্ছেদ করেছি। এরকম উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।