সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো ত্রাণ বিতরণ শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। উখিয়া ও টেকনাফের চারটি স্পটে মালয়েশিয়া প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম শুরু এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।এর মধ্যে চাল, ডাল, কফি, চিনি, খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, কম্বল ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রায় ৩৫ প্রকার পণ্য রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কো-অডিনেটর (এমআরআরও) সেলিম আহমদ বলেন, ইতিমধ্যে উখিয়া এবং টেকনাফ শরনার্থী ক্যাম্পে অবস্থানকারী নতুন (অনিবন্ধিত) ১৫হাজার ৭৬৭টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার কুতুপালংয়ে আরো ১৮১২পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হবে। অর্থাৎ উখিয়া-টেকনাফে মোট ১৭৫৭৯ পরিবারকে মাঝে ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, বালুখালীতে অন্তত শতাধিক পরিবার ত্রাণ পায়নি। তারা অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ একটি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ২০০/৩০০টাকা নিয়ে ফুড কার্ড দিয়েছে। যারা ওই দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগ এ সমস্ত অসহায় রোহিঙ্গা পরিবার ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়। তারা আরো বলেন, বিষয়টি ত্রাণ বিতরণকারী রেড ক্রিসেন্টের কর্তাব্যক্তিদের অবহিত করা হলে তারা পরবর্তীতে দেখবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্ত পুলিশের ১২ সদস্য নিহত হয়। ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করে আসছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর থেকে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।