সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার ছাগলচিরার ওলিয়ার শেখ। উন্নত জীবনের আশায় মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জোহর বাহরুতে কাজ শুরু করেন তিনি।
২০১০ সালে সহকর্মী অপর দুই বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আটক হন ওলিয়ার শেখ। দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১২ সালে এ মামলায় ওলিয়ার শেখকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয় আদালত।
বিষয়টি সম্পর্কে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে অবহিত করা হলে তৎকালীন প্রথম সচিব (শ্রম) মাসুদুল হাসান ওলিয়ার শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তিনি নির্দোষ।
পরে বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ হাইকমিশন। কিছুদিন পর মাসুদুল হাসান বদলি হয়ে গেলে এ স্থানে আসেন মুসাররাত জেবিন। তিনিও অক্লান্ত পরিশ্রম করেন ওলিয়ার শেখকে নির্দোষ প্রমাণ করতে।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়। একই দিন তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। ওলিয়ার শেখের পক্ষে আইনি লড়াই করেন মালয়েশিয়ান আইনজীবী রাডজি বিন ইয়াতিমাম।
মুক্তি পেয়েই ওলিয়ার শেখ ছুটে যান বাংলাদেশ হাইকমিশনে। এ সময় তাকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন ওলিয়ার শেখকে দেশে পাঠাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাতেই তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওলিয়ার শেখের মামলায় প্রথম থেকেই সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশনে শ্রম কল্যাণ সহকারী হিসেবে কর্মরত মোকছেদ আলী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।