থাইল্যান্ডের সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ১৩৯টি কবর ও ২৮টি বন্দীশিবির পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ আবু বাকার।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
খালিদ আবু বাকার বলেন, কিছু কবরে একাধিক মরদেহ রয়েছে। তিনি আরো জানান, খোঁজ পাওয়া এসব আশ্রয়শিবিরেই হয়তো তিন শতাধিক মানুষ ছিল।
মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান বলেন, ‘১১ থেকে ২৩ মে পরিচালিত অভিযানে আমরা ১৩৯টি কবর পেয়েছি।’
তিনি জানান, চলতি মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডে পাওয়া গণকবর থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি কবর পাওয়া গেছে।
খালিদ বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তাদের প্রথম দলটি এখানে এসেছে, তারা মরদেহ উত্তলন করবে।’
এর আগে রবিবার মালয়েশিয়ার পেরলিস রাজ্যের পেদাং ও ওয়াং কেলিয়ান অঞ্চলের জঙ্গলে ৩০টি গণকবরের সন্ধান পায় দেশটির পুলিশ।
মালয়েশিয়ার দৈনিক দ্য স্টার জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসব গণকবর পাওয়া যায়। এসব গণকবরে বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কয়েকশ নাগরিকের মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মালয় মেইল অনলাইনের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, থাইল্যান্ডের শংখলা প্রদেশে পাওয়া গণকবরের সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক রয়েছে।
মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঘটনার পর কয়েকজন বিদেশি নাগরিক ও স্থানীয় গ্রামীবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়াং কেলিয়ান অঞ্চলের কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন।
পর্যটন ব্যবসায় ধস নামায় তারা বিকল্প রোজকারের পথ খুঁজছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।