ফেসবুকের সার্চ বক্সে গিয়ে একটু মাশরাফি বিন মর্তুজা লিখে সার্চ করে দেখুন তো কতটি আইডির খোঁজ পান আপনি। দেখেছেন? হাতে সময় থাকলে এবার গুনতে বসে যান। সাথে বাদাম-চানাচুর কিছু নিয়ে বসতে পারেন। কারণ, বিরতি দেয়া লাগতে পারে। বিরতির সময় যাতে বাদাম-চানাচুর খেয়ে আবার উদ্যম ফিরে পান, এ জন্যই এ পরামর্শ।
ফেসবুকে কারও নামে আইডি গণনা এভাবে হয়তো কেউ করে না। করার প্রয়োজন হয়ও না। খুব বেশি কমন নাম হলে হয়তো ২০/২৫টা আইডি পাওয়া যেতে পারে একই নামে; কিন্তু মাশরাফির নামে আইডি খুঁজতে গেলে আপনি গুনে শেষ করতে পারবেন না। শেষ করা সম্ভব নয়। কেন নয়? কারণটা একটু পরই বলছি।
মাশরাফির নিজের নামে একটা ভ্যারিফায়েড পেজ আছে। ভ্যারিফায়েড মানে, ফেসবুক এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পেজের নিরাপত্তার দায়িত্বও অনেকটা ফেসবুকের হাতে। এই পেজে মাশরাফির অনুসরণকারী ৮১ লাখ ২০ হাজারের ওপরে। পেজটা ভক্তদের জন্যই তৈরি করা। এটা ব্যক্তির নামে হলেও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।
এ কারণে মাশরাফি নিজের ঘনিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য আরেকটা ব্যক্তিগত প্রোফাইল পরিচালনা করেন। ওটাই একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তবে সমস্যা হলো কিছুদিন পর পর তার ওই আইডি হ্যাক হয়ে যায়। খুঁজেই পান না আর সেটাকে। অগত্যা মাশরাফিকে আবার নতুন করে আইডি খুলতে হয়। এটা এক ধরনের অভ্যাসই হয়ে গেছে যেনো তার। গত দু’বছরে পাঁচ-ছয়বার আইডি খুলতে হয়েছে তাকে।
তবে, এবার নতুন বিপদে পড়েছেন মাশরাফি। এবার তো আর আইডি খুলতে পারছিলেন না। তার কোনো নাম দিয়েই আইডি খোলা যাচ্ছিল না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল করলেন মাশরাফি। এরপর ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাকে যে তথ্য জানানো হলো, তা শুনে তো চোখ কপালে নয়, আকাশে উঠে যাওয়ার কথা। ফেসবুক থেকে জানানো হলো মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাশরাফি মর্তুজা নামে ফেসবুকে ৯ লাখ আইডি খোলা হয়েছে।
৯ লাখ মাশরাফি বিচরণ করছে ফেসবুকে। আসল মাশরাফির খবর নেই। তিনি নিজেই ফেসবুক থেকে বলতে গেলে বিতাড়িত। অবশেষে একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আরেকটা আইডি খুলতে সক্ষম হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রঙিন জার্সির অধিনায়ক। এক ক্রীড়া সাংবাদিকের কাছে মাশরাফি নিজেই এ ঘটনার বর্ণনা করেছেন। সেই ঘটনা ওই সাংবাদিক আবার তুলে ধরেছেন তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।