মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শতকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করার মতো সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়েন মর্গ্যানের দলকে ২৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
সোমবার অ্যাডিলেইড ওভালে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান।
শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। জেমস অ্যান্ডারসনের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতেই ফিরে যান দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল।
দলে ফেরা ইমরুল থার্ড স্লিপে ক্রিস জর্ডানের হাতে ক্যাচ দেন। একবার জীবন পাওয়া তামিম ফিরে যান প্রথম স্লিপে জো রুটের তালুবন্দি হয়ে।
৫ রানের মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে। মাহমুদুল্লাহ ও চার হাকিয়ে শুরু করা সৌম্য বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সেরা জুটি উপহার দেন।
জর্ডানের বাউন্সার ঠিকভাবে খেলতে না পেরে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হয়ে সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে ১৮.১ ওভার স্থায়ী জুটি। তার বিদায়ের পরপরই ফিরে যান আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। মইন আলির বলে স্লিপে রুটকে ক্যাচ দেন তিনি।
৫ রানের মধ্যে সৌম্য-সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে আবার প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদুল্লাহ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি উপহার দেন এই দুই জনে।
মাহমুদুল্লাহর রান আউটে ভাঙে ১৪১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। তার আগেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম শতকে পৌঁছান মাহমুদুল্লাহ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটস্যান হিসেবে শতক করেন তিনি।
১০৩ রান করা মাহমুদুল্লাহর ১৩৮ বলেল ইনিংসটি ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় গড়া।
চার ম্যাচে তৃতীয় শতক তুলে নেয়া মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ রানের আরেকটি চমৎকার ইনিংস। তার ৭৭ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি গড়া ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়।
দ্রুত উইকেট হারানোয় শেষ দিকে বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।