শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলার পথে মিরপুরে এক হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন সাকিব।
বৃহস্পতিবারের খেলা শেষে ১৪ রানে অপরাজিত থাকা সাকিবের এক হাজার রান পূর্ণ করতে প্রয়োজন ছিল আরও ৩০ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় সেই কাজটা অপূর্ণ থাকার শঙ্কা তৈরি হয়।
সৌম্য সরকার, শুভাগত হোম চৌধুরী ও তাইজুল ইসলামের দ্রুত বিদায়ে সাকিবের শেষ সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ শহীদ। চোটের কারণে ঢাকা টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় শাহাদাত হোসেনের অনুপস্থিতিতে সাকিব-শহীদই ছিলেন বাংলাদেশের শেষ জুটি।
শহীদ ক্রিজে আসার সময় ২৭ রানে ব্যাট করছিলেন সাকিব। শেষ ব্যাটসম্যান ক্রিজে আসার পর রানের পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ইয়াসির শাহর বলে চার হাঁকিয়ে মিরপুরে এক হাজার রান পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর আর পেছনে তাকাননি সাকিব। ইয়াসির-ওয়াহাব রিয়াজদের সীমানা ছাড়া করে দ্রুত রান তুলে নিতে থাকেন তিনি।
বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে নবম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সাকিব-শহীদ। এই জুটিতে সাকিবের অবদান ৬২ রান। ডিপ স্কয়ার লেগ, ডিপ ফাইন লেগ ও ডিপ মিড উইকেটে ফিল্ডার রেখেও সাকিবের রান নেওয়া থামাতে পারেননি অতিথিরা। তিন ফিল্ডারের মাঝখান দিয়েই বল সীমানা ছাড়া করেন তিনি।
মিরপুরে ১৩তম টেস্ট খেলছেন সাকিব। ২৪ ইনিংসে একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতকে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিবের রান ১ হাজার ৪৫। এই মাঠে আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডারের গড় ৪৭.৫০।
মিরপুরে সাকিবের পরের তিনটি স্থানে আছে তামিম ইকবাল (৭৭৮), মুশফিকুর রহিম (৫৭৫) ও মাহমুদউল্লাহ (৪০৩)।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২০৩ রানে অলআউট হওয়ার সময় ৮৯ রানে অপরাজিত থাকা সাকিবের ৯১ বলের ইনিংসটি ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতেও সর্বোচ্চ রান সাকিবের (১ হাজার ৮৬৩)। এখানেই তার পেছনে আছেন তামিম (১ হাজার ৮৪১), মুশফিক (১ হাজার ৭৩৯) ও মাহমুদউল্লাহ (১ হাজার ১২৯)।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।