কক্সবাজারে স্কুল ছাত্র হৃদয় মনি (৭) কে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে ৩জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রাজজ আদালতের বিচারক সাদেকুল ইসলাম এ রায় দেন। এ রায়ে একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, আব্দুল খালেক (৩৫), বাহাদুর মিয়া (৩২) ও আব্দু শুক্কুর (২৭)। অপর আসামী জসিম উদ্দিন (২৫) কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার বাদি ও হত্যাকান্ডের শিকার স্কুল ছাত্র হৃদয় মনির পিতা নুরুল হক জানান, ২০১৩ সালের ৫জুলাই সকাল ১১টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া হাজি হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র ও তার শিশু ছেলে হৃদয় মনি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল অপহরণকারী একটি খেলনার গাড়ি ও নগদ টাকার লোভ দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর শহরতলির সমিতিপাড়ায় নিয়ে সেখানে একটি বাড়িতে আটক রাখে। অপহরণকারী চক্র ওই দিন দুপুরে শিশুর বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ব্যর্থ হয়। পরদিন ৬ জুলাই শিশুটিকে হোটেল সী-প্যালেসের পিছনে সৈকতের বালিয়াড়িতে হত্যা করে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ এপ্রিল তিনি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদীর ভাই মোহাম্মদ আলম সহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে শিশু হৃদয় মনি হত্যার ঘটনায় অপহৃত শিশুর মুক্তিপনের টাকা আনতে গিয়ে পুলিশ সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে এক রিক্সা চালক জসিমকে আটক করে। ধৃত রিক্সা চালক জসিম পুলিশকে জানায়, তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছিল ‘মুক্তিপণ’র টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে তার ¯ী^াকারোক্তি মতে মিয়ানমারের মৃত মো: শফির ছেলে আব্দুল খালেক (৩৫), মৃত গোলাম বারীর ছেলে আব্দু শুক্কুর (২৭) ও চট্টগ্রামের লোহাগড়া এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে বাহাদুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশের ব্যাপক তদন্তে মামলার এজাহারে ৮ আসামীর বাদ দিয়ে আটকদের বিরুদ্ধে আদালতে একই বছর চার্জসিট দাখিল করে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।