সহিংসতাপ্রবণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাদের হাতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আজ সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিহত ব্যক্তিদের ‘রোহিঙ্গা মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী’র সদস্য বলে দাবি করেছে। রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।
গত ৯ অক্টোবর মংডু শহরের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৌকিতে হামলার ঘটনায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আবার জটিল আকার ধারণ করে। পুরো মংডু শহর ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষক ও কূটনীতিকেরা মনে করছেন, গতকাল রোববারের এই হামলার ঘটনায় অশান্ত এই রাজ্যটিতে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা ও ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি পুনরুদ্ধারের সব আশা শেষ হয়ে গেছে।
রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার জানায়, গতকাল একদল অস্ত্রধারী রামদা ও কাঠের বল্লম নিয়ে হামলা চালালে সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। পত্রিকাটি আরও জানায় গত শনিবার সেনাসদস্যদের হাতে ছয়জন নিহত হয়। এবং সেখানে হেলিকপ্টার তলব করা হয়।
রাখাইন রাজ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকের বাস। কিন্তু মিয়ানমার তাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশের থেকে যাওয়া অবৈধ নাগরিক মনে করে।
হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। সেখানেই বেশির ভাগ রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস। ওই এলাকায় কোনো ত্রাণকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ায় এ সংঘর্ষে ৬০ জনের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম হামলাকারী আহত ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৭ জন আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়। ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়।
সূত্র: প্রথম অালো
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।