বিশেষ প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাঙালী জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রতিটি বাঙালীর কাছে আনন্দের ও গৌরবের। মুজিববর্ষ থেকে আরম্ভ করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন প্রতিটি বাঙালীকে গৌরবদীপ্ত ও আনন্দিত করে। তাই জাতির জনকের রাজনৈতিক ও বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মেও কাছে তুলে ধরতে হবে। মহান স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা ছিল সাহসী, সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতা। তিঁনি সবসময় দেশের মানুষের কথা বলতেন। দেশের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের কথা চিন্তা করতেন। বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসী নেতা পেয়েছিলাম বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সরোয়ার কামাল দুলু। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। সভা শেষে মেলায় সেবাদানে ১ম স্হানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠান জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্টল ও প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সবশেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।