সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি কে এম নাছির উদ্দিন দুই এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। শাহজাদপুর উপজেলার ছয় আনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খন্দকার করিম বক্সের ছেলে। শিমুল হত্যাকাণ্ডের চার নম্বর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত নেতা নাছির।
গত ২৪ এপ্রিল উচ্চ আদালত থেকে মিস কেসের মাধ্যমে তিনি জামিন লাভ করেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল তার জামিন মঞ্জুর করেন। ওই জামিন আদেশ শাহজাদপুর আমলি আদালতে জমা দেওয়ার পর বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার জামিন আদেশ জেলা কারাগারে দাখিলও করা হয়। তবে কাস্টডি ওয়ারেন্টের তথ্যের সঙ্গে জামিনের আদেশপত্রের তথ্যে কিছুটা গরমিল থাকায় জামিন আদেশপত্রটি সংশোধনের জন্য নাছিরের আইনজীবীর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশোধিত জামিন আদেশটি কারাগারে দাখিল করার পর শিমুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ৪ নম্বর আসামি নাছির জামিন পেতে যাচ্ছেন। এর আগে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মেয়র হালিমুল হক মিরুর সহোদর হাসিবুল হক পিন্টু গত ৯ এপ্রিল জামিন পান। পিন্টু ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদ মারপিটের ঘটনায় অন্যতম আসামি। গত ২ ফেব্রুয়ারি শিমুল হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আল মামুন জানান, উচ্চ আদালত ও শাহজাদপুর আমলি আদালতের মাধ্যমে শাহজাদপুর উপজেলার ছয়আনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খন্দকার করিম বক্সের ছেলে নাছিরের জামিন আদেশ জেলা কারাগারে পৌঁছালেও কাস্টডি ওয়ারেন্টের তথ্যের সঙ্গে জামিনের আদেশপত্রের তথ্যের কিছুটা গরমিল থাকায় তা সংশোধনের জন্য তার আইনজীবীর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে তা সংশোধিত হয়ে কারাগারে আসতে পারে। সংশোধিত পত্রটি এলেই শাহজাদপুর থানার গত ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখের ৪ নম্বর মামলার আসামি নাছির জামিন পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে পৌর মেয়রের দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টুর সঙ্গে বিজয়ের বিরোধ তৈরি হয়। এরপর ছাত্রলীগ নেতা বিজয়কে তুলে নিয়ে মেয়রের বাড়িতে আটকে মারধর করে তার হাত ভেঙে দেওয়া হয়। পরে এ নিয়ে নিজ দলের একটি পক্ষের সঙ্গে মেয়র হালিমুল হক মিরু, মিন্টু, পিন্টু ও নাছিরসহ মেয়রের অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন, খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকার নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।