২৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা ক্লাসে ৭০% উপস্থিত থাকবে না তাদের পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হবে না- শাহাজাহান চৌধুরী   ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান

মুজাহিদের রায় ১৬ জুন

44
 মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের আপিল মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে।

বুধবার যুক্তি উপস্থাপন পর্ব শেষে আগামী ১৬ জুন মুজাহিদের এই মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এদিন মুজাহিদের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আপিল শুনানি শেষ হয়।

এর আগে অন্যান্য কার্যদিবসে আপিলের পেপারবুক থেকে মুজাহিদের বিরুদ্ধে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের রায়, অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপন শেষ করেন মুজাহিদের আইনজীবী এস এম শাজাহান।

এরপর সোমবার মুজাহিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে মঙ্গলবার শেষ করেন মুজাহিদের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাজাহান।

পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এই মামলার বিভিন্ন সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখিয়েছি। এই সব সাক্ষীর ভিত্তিতে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না। যে দুটি অভিযোগে তাঁকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে সাত নাম্বার অভিযোগটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগই ছিল না। এই অভিযোগটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নেননি।”

২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। তৃতীয় অভিযোগে (ফরিদপুরের রণজিৎ নাথকে আটক রেখে নির্যাতন) তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পঞ্চম অভিযোগে (নাখালপাড়া সেনাক্যাম্পে আলতাফ মাহমুদ, রুমী, বদি, আজাদ, জুয়েল হত্যাকাণ্ড) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ষষ্ঠ (বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড) ও সপ্তম অভিযোগে (বাকচরে হিন্দুদের হত্যা ও নিপীড়ন) মুজাহিদকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ষষ্ঠ অভিযোগের সঙ্গে প্রথম অভিযোগ (সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যা) একীভূত করায় এতে আলাদা করে শাস্তি ঘোষণা করা হয়নি। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুজাহিদকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ আগস্ট আপিল করে মুজাহিদ খালাস চান। ট্রাইব্যুনালের পুরো রায়ের বিরুদ্ধে ১১৫টি যুক্তি নিয়ে আপিল করেন মুজাহিদ। ট্রাইব্যুনাল যেসব কারণে সাজা দিয়েছেন, তার আইনগত ও ঘটনাগত ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেন তিনি। মূল আপিল ৯৫ পৃষ্ঠার, এর সঙ্গে ৩ হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। গত ২৯ এপ্রিল থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়।

শীর্ষ নিউজ

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।