নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রমেশ্বর দাঙ্গাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৭০০ হয়েছে এবং সাড়ে ছয় হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছেন।
এদিকে, হাজার হাজার নেপালী দ্বিতীয় দিনের মতো খোলা আকাশ ও অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটিয়েছেন। শনিবারের বিপর্যয়ের পর রবিবার অল্প সময়ের ব্যবধানে ৬ দশমিক ৭ এবং ৫ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি কম্পনের কারণে আতঙ্কে লোকজন ঘরে না থেকে উন্মুক্ত আকাশের নিচে রাত কাটান। এর মাঝে বৃষ্টি নেপালিদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতাও।
আহতদের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের বিছানায় জায়গা না হওয়ায় হাসপাতালের বাইরে তাঁবুর নিচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই অপারেশন থিয়েটার খোলা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার দুই দফা কম্পন ও বৃষ্টির কারণে হিমালয়ের এভারেস্টে তুষার ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। এছাড়া শনিবারের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিগত ৮০ বছরের মধ্যে ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে নেপালের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে ১৯৩৪ সালে দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সাড়ে আট হাজার লোক মারা যায়। সূত্র: বিবিসি/এনডিটিভি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।