২৮ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

মেজর সিনহা খুনের মামলাটি খুব সাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে -লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ

ইমাম খাইর, কক্সবাজার
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খুনের মামলাটি খুব সাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, উক্ত ঘটনায় মেজর মোঃ সিনহা রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের জন্য একজন চৌকস কর্মকর্তাকে আইও করা হয়েছে। যিনি ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মামলার তদন্ত সুন্দরভাবে শেষ করেছেন।

সোমবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার সাগরপাড় সংলগ্ন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ এসব কথা বলেন।

মেজর সিনহা খুনের মামলায় ৭ জন আসামীকে র‌্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাদের রিমাণ্ডের চতুর্থ দিন আজ শেষ হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৫ম দিন। ক্রমান্বয়ে ৭ দিন তাদের রিমাণ্ড কার্যক্রম চলবে।

এ মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধায় অভিজ্ঞ বেশ কিছু কর্মকর্তাও তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করছেন।

আমি নিশ্চিত আপনারা অবহিত আছেন, আজ র‌্যাব মহাপরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথেও বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন।

মহাপরিচালক মহোদয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর পাশাপাশি আজ আমরা এপিবিএন এর সাবইন্সপেক্টর শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহকে আমাদের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা ওই দিন চেকপোস্টে ডিউটিরত ছিলেন।

আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাদের এ সংক্রান্ত কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুনের ঘটনাকেন্দ্রিক সর্বমোট চারটির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে দুইটি মাদক মামলা আদালতের নির্দেশে র‌্যাব-১৫ তদন্ত করছে। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই হত্যা মামলাটি আদালতের আদেশে র‌্যাব তদন্ত করছে।

মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনজন আসামী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে র‌্যাব হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাদ শুরু করে নি। খুব শগিগিরই তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে র‌্যাব হেফাজতে এনে রিমাণ্ড কার্যক্রম শুরু করবেন।

র‌্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ইতোমধ্যে মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের ল্যাপটপসহ ২৯টি জিনিস পুলিশ জব্দ করেছিল। যেগুলো জিডিকর্মে রামু থানায় হেফাজতে রয়েছে। এসব র‌্যাবের তদন্তকারী দল হেফাজতে নিয়ে যাচাই করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, শিপ্রা দেবনাথের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সব ভাইরাল হয়েছে এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপাততঃ এ ব্যাপারে আমাদের কোন মন্তব্য নাই।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।