২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

যাত্রীসেজে প্রাইভেট কারসহ চালককে উখিয়ায় অপহরণ: ৯৯৯ এর সহায়তায় উদ্ধার, আটক ৮

ইমাম খাইর :

শামসু নামের একজন প্রাইভেট কার (প্রোভক্স) চালক ২ জন যাত্রীসহ গত ৩১ মে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসছিলেন। পথিমধ্যে ঘটে বিপত্তি। যাত্রীরাই এখন দেখা যায় ভিন্ন জগতের। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চালক শামসুর মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নেয়।

নির্ধারিত অবস্থানে থাকা সংঘবদ্ধ চক্রের আরো কয়েকজন সদস্য যোগ দেয়। সবাই মিলে চালককে উখিয়ার একটি পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখে।

চালক শামসুর মাধ্যমে ঢাকার গাড়ির মালিকের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না পেলে ড্রাইভারকে মেরে ফেলবে, গাড়ি অন্যত্র বিক্রি করে দিবে বলে হুমকি দেয়।

তখন গাড়ির মালিক ৯৯৯ এর সাহায্য নেয় এবং ৯৯৯ উখিয়া থানাকে অপহরণের বিষয়টি জানায়। উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এর নেতৃত্বে ৩ টি চৌকস টিম সম্ভাব্য ৩ টি জায়গায় একটানা অভিযান পরিচালনা করে।

অবশেষে উখিয়া হলদিয়া পালংয়ের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে চালককে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের ৮ জন (৬ জন পুরুষ ও ২ জন নারী) সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের দেখানো মতে উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের আরেকটি জায়গা থেকে গাড়িটি জব্দ করে।

ঘটনার বর্ণনাটি এভাবে দেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আটককৃতরা স্বীকার করে যে, তারা প্রায় সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভাড়া গাড়ি কক্সবাজারে এনে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করে।

এছাড়া তারা মাদক, চোরাকারবারিও করে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। আটককৃতদের ৪ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে হত্যা, ডাকাতি ও মাদক আইনে পূর্বে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তারা বিভিন্ন সময়ে জেলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন জেলার লোকজনের সাথে পরিচয় ঘটে এবং তারা জেল থেকে বের হয়ে মাদক ও অপহরণের এই সিন্ডিকেট গঠন করে।

এসপি জানান, ৯৯৯ এর ফোনকলে পুলিশের অভিযানে একজন মানুষের জীবন বাঁচালো। উদ্ধার হলো গাড়ি। সেইসঙ্গে অনেক বড় একটি অপরাধীচক্র শনাক্ত হলো।

এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এসপি মোঃ হাসানুজ্জামান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।