৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ২০ চৈত্র, ১৪৩১ | ৪ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

যে ব্যাংকের সবাই ভিক্ষুক!

বিহারের মঙ্গলা ব্যাংকভিক্ষুকদের জন্য ভিক্ষুক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে ব্যাংক। আর এমন অভিনব ব্যাংকটি চালু হয়েছে ভারতের বিহারে। অদ্ভূত ব্যাংকটির উদ্যোক্তাও বিহারেরই গয়া জেলার একদল ভিক্ষুক।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভিক্ষুক দ্বারা পরিচালিত এই ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য কোনও প্যান কার্ড কিংবা ভোটার কার্ডের দরকার নেই। অ্যাকাউন্ট খোলার একটাই শর্ত। তা হচ্ছে, গ্রাহকদের ভিক্ষুক হতে হবে। এমন ভিক্ষুকদেরই বিপদের সময় আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ একদল ভিখারীর। খবর এবিপি আনন্দর।

এই ভিক্ষুকরা বছরের পর বছর ধরে বিহারের মা মঙ্গল-গৌরী মন্দিরের গেটের সামনে ভিক্ষা করে আসছেন। সেইসূত্রে এই ব্যাংকের নামও রেখেছেন মঙ্গলা ব্যাংক। মাত্র ছয় মাস আগে ব্যাংকটির জন্ম। ব্যাংক ম্যানেজার, কোষাধ্যক্ষ, সেক্রেটারি কেউই যথার্থ শিক্ষিত নন। প্রত্যেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা খুবই কম। তাদের একটাই পরিচয়, তারা ভিক্ষুক।

ওই ব্যাংকের ম্যানেজার রাজ কুমার মাঝি জানিয়েছেন, ভিক্ষুকরা মিলেই এই ব্যাংকটি করেছেন। এখন সদস্য সংখ্যা ৪০। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক ভিক্ষুককে সপ্তাহের প্রত্যেক মঙ্গলবার ২০ টাকা করে ব্যাঙ্কে জমা রাখতে হবে।

ব্যাংকের সেক্রেটারি মালতীদেবী জানান, দীন-দরিদ্র হওয়ায় সমাজে উপযুক্ত সম্মান থেকে বঞ্চিত হন তারা। তাই, ভিক্ষুকদের আশা পূরণ করতেই এই ব্যাংক তৈরির স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা। মাঝির স্ত্রী নাগিনা দেবী এই ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ। তিনি যথেষ্ট শিক্ষিত না হলেও টাকা জমা রাখার কাজটি যথেষ্ট দায়িত্বের সঙ্গে পরিচালনা করেন তিনি।

জরুরী অবস্থায় এই ব্যাংকই তাদের বড় বল বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ম্যানেজার রাজকুমার মাঝি। যেমন গত মাসেই তার মেয়ে ও বোন আগুনে পুড়ে যাওয়ায়, চিকিৎসা বাবদ ব্যাংক তাকে ৮০০০ টাকা ধার দিয়েছিল। এজন্য তাকে সুদও দিতে হয়নি।

তবে ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি মালতীদেবী জানান, সামনের মাস থেকে তারা ধারের সাপেক্ষে ২-৫ শতাংশ সুদ ধার্য করবেন। এতে সদস্যদের ধার শোধের চাপ বেশি থাকবে বলে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, ব্যাংকে ভবিষ্যতের জন্য টাকা সঞ্চয় করতে পেরে খুশি বিহারের বাকি ভিক্ষুকরাও।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।