আগামী রবিবার থেকে রাজধানীর ২০টি ব্যাংক শাখাতে সব মানের নতুন টাকা ও কয়েন পাওয়াযাবে। বর্তমানে ১২টি শাখায় ছোট নোট ও আট শাখা থেকে বড় মানের নোট সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার থেকে আট শাখার মাধ্যমেও ৫ থেকে ৫০ টাকা মানের নোট সংগ্রহ করা যাবে।
গ্রাহক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে পুরনো বা পুন: ইস্যু করা নতুন নোট পর্যাপ্ত আছে। তাই ঈদে খুচরা টাকা নিয়ে কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কারেন্সি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা।
তিনি বলেন, এবারের ঈদে ২২ হাজার কোটি টাকার নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে ছোট অঙ্কের নোটের সংকট রয়েছে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকার নতুন নোট নিতে পারবে। রাজধানীবাসীর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে একটি ভিআইপিসহ মোট তিনটি কাউন্টারে নতুন নোট বিতরণ করা হবে।
এ ছাড়া ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ১৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখার মাধ্যমে নতুন নোট ও কয়েন বিতরণ করা হবে।
ঢাকায় যেসব শাখায় নতুন টাকার নোট পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, জনতা ব্যাংকের নিউমার্কেট, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী, প্রাইম ব্যাংকের মালিবাগ, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখা।
এছাড়া, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, প্রাইম ব্যাংকের মিরপুর, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার ইউনিট দক্ষিণখান, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা এবং জনতা ব্যাংকের আবদুল গণি রোড করপোরেট শাখা।
ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে দুটি এবং অন্যান্য অফিসে সর্বোচ্চ দুটি কাউন্টারে নতুন নোট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের তিনটি শাখা এবং বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বাণিজ্যিক ব্যাংকের দুটি শাখার মাধ্যমে নতুন নোট দেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।