২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

রমজানের আগেই বেড়েছে চালের দাম

রমজানের বাকি প্রায় ১ মাস। ভোগ্যপণ্য চালের বাজারে শুরু হয়েছে রমজানের প্রভাব। হঠাৎ করে বেড়ে গেছে পণ্যটির দাম। খুচরা বাজারে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। অন্যান্য পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রোজার পণ্য হিসেবে বিবেচিত ছোলা, খেসারি, মসুর, চিনি, দুধ, খেজুর, তেল, পেঁয়াজ এবং রসুন যেন মূল্যবৃদ্ধির অপেক্ষায় রয়েছে। এ পণ্যগুলোর মূল্য এখনও অপরিবর্তিত থাকলেও উল্লম্ফন ঘটতে পারে, এমনই আশঙ্কা ক্রেতাসাধারণের।

প্রতি বছর রোজার পূর্বে রাষ্ট্রীয় সংস্থা টিসিবির (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) প্রস্তুতি ও তৎপরতা দেখা গেলেও এবার তা এখনও দৃশ্যমান নয়। বেসরকারী খাতকে একচ্ছত্র কারবারের সুযোগ না দিতে টিসিবিকে সক্রিয় রাখার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে শুধুমাত্র রোজার সময় নামকাওয়াস্তে কিছু তৎপরতা থাকলেও সারাবছরই নিষ্ক্রিয় থাকে সংস্থাটি।

চালের অতিরিক্ত দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দুষছেন। মিল মালিকরা বলছেন, মৌসুমের শেষভাগে মিলের সব চাল আড়তে দেওয়া হয়েছে। আড়তদাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন মিলে নতুন ধান আসছে, চাল উৎপাদন করে সরবরাহ করা হবে। তারা বলেন, সারাদেশে বৃষ্টির কারণে চাতালগুলোও নিয়মিতভাবে ধান প্রক্রিয়াজাত করতে পারেনি। হাওর অঞ্চলে অনেক চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ধানের দাম বেড়ে যাওয়া ও বন্যার কারণে সরবরাহ বিঘি্নত হওয়ায় দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। এদিকে আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, বন্যার কারণে বোরো ধানের চাল সময়মতো বাজারে আসতে পারেনি।

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। অনেকের মতে, এখান থেকেই ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই খাতুনগঞ্জে এখন দেদার বিক্রি। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এখান থেকে পাইকারি দামে কেনা পণ্য চলে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। খুচরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কিছুটা প্রবণতা পরিলক্ষিত হলেও পাইকারি বাজারে তা বাড়েনি বলে দাবি করছেন পাইকাররা।

এদিকে, হঠাৎ ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ভোগ্যপণ্যের মূল্য বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা বিরাজ করছে। হঠাৎ করে ডলারের মূল্য চড়া হওয়ায় তা মূল্যকে প্রভাবিত করা অস্বাভাবিক নয়। তবে ব্যবসায়ী নেতারাই বলছেন, বর্তমানে যে পণ্যগুলোর মজুদ রয়েছে তা ডলারের মূল্যবৃদ্ধির আগে আমদানি করা। সুতরাং মূল্য বাড়িয়ে রাখার চেষ্টা যদি করা হয় তা হবে অনৈতিক এবং অসততা। এ ব্যাপারেও প্রশাসনের নজরদারি থাকা প্রয়োজন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।