সিটি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইতে খালেদা জিয়ার আইনি বাধা নেই। কারণ, তিনি এমপি-মন্ত্রী কিংবা জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নন।
বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ রাখতে পারেননি।
এ কারণে সিটি নির্বাচন ইস্যুতে এক ঢিলে দু’পাখি শিকার করতে চাচ্ছেন তিনি। একদিকে নির্বাচনী প্রচারণায় সমর্থিত প্রার্থীর ভোট বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে রাজধানীর সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছকাছি যেতে পারবেন খালেদা জিয়া। বিশেষ করে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলন আরও জোরদার করতে নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করবেন তিনি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মাঠে নামলে দ্রুতই চাঙা হয়ে উঠবে নেতাকর্মীরা।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল ও জোট সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে বেশ কয়েকটি পথসভায় অংশ নেবেন। প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি চট্টগ্রামেও যেতে পারেন। সম্ভাব্য এসব পথসভায় দল ও জোট সমর্থিত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নগরবাসীর কাছে তিনি ভোট চাইবেন।
ইতিপূর্বে চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম ও ঢাকা দক্ষিণে মির্জা আব্বাসকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। যেকোনো সময় ঢাকা উত্তরেও প্রার্থী সমর্থন দেবে দলটি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শীর্ষ নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, শুধু প্রচারণা নয়, খালেদা জিয়া ঢাকার এক প্রান্তে প্রবেশ করে অন্যপ্রান্ত দিয়ে বের হবেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়া বকশিবাজারে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দিতে যান। আদালতে হাজিরা দিয়ে তিনি দুপুর ১২ টা ১৮ মিনিটের দিকে গুলশানের বাসভবনে (ফিরোজা) ফিরে আসেন।
এরআগে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ৯২ দিন খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সমাবেশ আহ্বান করেছিলো ২০ দল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা তাকে কার্যালয় থেকে বের হতে দেয়নি। এর প্রতিবাদে ৬ জানুয়ারি থেকে বেগম জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেন, যা এখনো অব্যাহত আছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।