নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ বলেছেন- স্বাধীনতাবিরোধী চক্র একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পঁচাত্তরের পনেরই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে কারাগারে বন্দি করে রাখে। এর পর ৩ নভেম্বর কারাগারেই সংঘটিত করা হয় ইতিহাসের আরেকটি নির্মম, নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। এই ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে স্বাধীনতাবিরোধী উল্লেখ করে এমপি জাফর আলম আরো বলেন, ‘আগামীতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতচক্রকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। যতই আন্দোলনের নামে রাজপথ দখলের চেষ্টা করেন না কেন, মনে রাখবেন আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী খুবই সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে। অতএব চকরিয়া-পেকুয়াতে রাজপথে নেমে আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করলে অতীতের মতোই কঠিণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
বুধবার বিকেলে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন এমপি জাফর আলম। ইতিহাসের জঘন্যতম ও বর্বরোচিত অধ্যায় জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে ঢল নামে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক সাধারণ জনতার।
পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ জাতীয় চার নেতার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। আরো বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এম আর চৌধুরী, রফিক উদ্দিন, ছৈয়দ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিদ মিল্টন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।