পেকুয়া উপজেলায় এরশাদ আলী ওয়াকফ স্টেটের লবণ চাষীদের ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছেন দূর্বূত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুল পাড়া গ্রামের লবণ চাষী আলী হোছাইন ও আবুল হোছাইনের লবণ মাঠে। তার দুইজনই বামুল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং এরশাদ আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের কাছ থেকে লবণ চাষের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিল। এদিকে লবণ চাষের ভরা মৌসুমে মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ায় চরম হতাশায় ভূগছেন চাষীরা। এদিকে গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী লবণ চাষী আলী হোছাইন এবং আবুল হোছাইন অভিযোগ করেছেন, তাদের ২ জন চাষীর ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন বুধবার (২২ ফেব্রেুয়ারী) সন্ধ্যায় বামুলা পাড়া গ্রামের বদর আলমের পুত্র আলমগীরের নেতৃত্বে গোলাম শরীফের পুত্র আরিফ, মৃত বজল আহমদের পুত্র কাসিম আলী, বশিরুজ্জামানের পুত্র সুজাংগীর, জালালের পুত্র হারুন, শাহ আলমের পুত্র কালুসহ আরো কয়েকজন লোক প্রকাশ্যে লবণ মাঠের পলিথিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলে।
লবণ চাষীরা জানান, তাদের ৩ কানি লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়া হয়েছে। কেটে দেওয়া পলিথিনের মূল্য ৫-৬০ হাজার টাকারও বেশি হবে তারা জানান। স্থানীয় লবণ চাষীরা আরো অভিযোগ করেছেন, বদর আলমের পুত্র আলমগীরের নেতৃত্বে একদল লোক প্রায় সময় রাজাখালী বামুলা পাড়া এলাকায় নিরীহ লবণ চাষীদের লবণ মাঠের চাষীদের হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদা দাবী, প্রকাশ্যে পলিথিন কেটে দেওয়াসহ লুটতরাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষী আবুল হোছাইন ও আলী হোছাইন তাদের লবণ মাঠের পলিথিন কাটার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারের নিকট হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে রাজাখালী এরশাদ আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের পরিচালক হানিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, লবণ চাষী আলী হোছাইন ও আবুল হোছাইনের লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চান এবং নিরীহ লবণ চাষীদের মাঠে পলিথিন কাটা বন্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহবান জানিয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।