সিবিএনঃ
উখিয়ায় রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক টানা ভোট গ্রহণ হয়।
ভোটের খাতায় মোট ৮ জন প্রার্থী থাকলেও হেলাল উদ্দিন (মোরগ) ও নুরুল হক (আপেল) শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন। শেষেও তাই প্রমাণিত।
হেলাল উদ্দিন মোরগ প্রতীক নিয়ে ২০৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে।
নিকটতম প্রার্থী নুরুল হক খাঁন আপেল প্রতীকে পেয়েছেন ৯০৮ ভোট।
নির্বাচনে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হক (ফুটবল), কবির আহমদ (ভ্যানগাড়ী), জাহাঙ্গীর আলম (তালা), মুজিবুর রহমান (টিউবওয়েল), রাশেদুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা), শাহীনা আকতার (পানির পাম্প) প্রার্থী ছিলেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে দুই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৪শ ৫০জন। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩০৬ জন ও মহিলা ভোটার ২১৪৪।
কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৭৭৯। পাতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৬৬১ জন ভোটার।
কেন্দ্রওয়ারি ফলাফলঃ
পাতাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬৬১ এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১২৯৪ জন। তৎমধ্যে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ৮৯০ ভোট। আপেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হক খাঁন পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হক পেয়েছেন ২৫ ভোট। তালা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩ ভোট। টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ১ ভোট। বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে রাশেদুল হক পেয়েছেন ১ ভোট। পানির পাম্প প্রতীকের প্রার্থী শাহীনা আকতার পেয়েছেন ২ ভোট। নষ্ট ভোট ৮টি। এ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম।
কুতুপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭৭৯ এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২২৩১ জন। তৎমধ্যে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ১২০৮ ভোট। আপেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হক খাঁন পেয়েছেন ৬৪৫ ভোট। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হক পেয়েছেন ৩২৪ ভোট। তালা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৫৪ ভোট। নষ্ট ভোট ৩৬। এ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর।
এ প্রসঙ্গে রিটার্ণিং অফিসার ও উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেছেন, রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু এটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা। তাছাড়া ক্যাম্পের ভিতরেও কিছু বাঙ্গালী রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) রামু নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের পাশাপাশি দুই কেন্দ্রে পুলিশ ও র্যাবের দুটি টীম দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি কেন্দ্রে ১৭জন আনসার এবং ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও সহকারী কমিশনার ভুমি (উখিয়া) আমিমুল এহসান খাঁন ভোট কেন্দ্র সার্বক্ষণিক তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত: ২৪ জুলাই টেকনাফের ওয়াব্রাং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে উখিয়ার বহুল আলোচিত বখতিয়ার মেম্বারসহ দুইজন নিহত হলে উক্ত ওয়ার্ড ইউ.পি সদস্যের পদটি শূণ্য ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
বিজয়ী হেলাল উদ্দিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় আমি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
পাশাপাশি আমার মরহুম পিতা বখতিয়ার আহমদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এছাড়াও ভোটার, নির্বাচন কমিশন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ দায়িত্বরত সকল সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।