বিশেষ প্রতিবেদকঃ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কক্সবাজারের মহেশখালী, পেকুয়া, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ এ পাঁচটি উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে রোববার (২৪ মার্চ)। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রহণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। এদিনে জেলার ৬টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে উচ্চ আদালতের নির্দেশে কুতুবদিয়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, জেলার পাঁচ উপজেলায় ভোটগ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচ উপজেলায় ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি উপজেলায় একজন করে জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নির্বাচনী বিধি রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। তাদের পাশপাশি রয়েছে ৩০ প্লাটুন বিজিবি ও ৬ প্লাটুন র্যাব। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য দায়িত্বে রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা হিসেবে মহেশখালী ও টেকনাফের সেন্টমার্টিনের জন্য রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কোস্টগার্ড সদস্য।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমদ জানান, শুক্রবারই ব্যালেট পেপারসহ সকল সরঞ্জাম এবং ভোট কেন্দ্রে যাবার যানবাহনসহ সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কেন্দ্রভিত্তিক বন্ঠন পূর্বক মজুদ করে রাখা হয়। শনিবার বিকালের মাঝেই দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেন্দ্রে পৌছে যাবেন।
নিয়মানুসারে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে থেকেই প্রার্থীদের সকল প্রচারণা বন্ধ। নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটর সাইকেল চলাচল। শনিবার বিকেল থেকে প্রয়োজন ছাড়া সকল যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে নৌযান চলাচলও। ভোট উপলক্ষ্যে রোববার ভোটের দিন পাঁচ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিদ্বন্ধি কোন পক্ষকে বিন্দু পরিমাণ প্রভাব বিস্তার করতে সুযোগ দেয়া হবে না। ভোটারবান্ধব পরিবেশে ভোট গ্রহন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে কোন ধরনের গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টা, সন্ত্রাস, পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইলে তা কঠোর হন্তে দমন করা হবে।
এসপি আরো বলেন, পাঁচ উপজেলার সর্বত্র শুক্রবার থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১৮ মার্চের আদলেই শৃঙ্খলাবাহিনীর সকল সদস্য ভয়ভীতি, হুমকি উপেক্ষা করে কঠোর ও পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে। #
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।